একবার দলের দরজা খুলে দিলেই বিজেপির অস্তিত্ব থাকবে না। শনিবার কাঁথির সভা থেকে বড় ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বড় চ্যালেঞ্জের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পাল্টা জোড়াফুল শিবিরে বিরাট ভাঙনের ইঙ্গিত দিলেন নিশীথ প্রামাণিক। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বড় দাবি, ৪০-৫০ জন বিধায়ক বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। যে কোনও মুহূর্তে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়বে তৃণমূল।
ঠিক কী বলেছেন নিশীথ প্রামাণিক?
রবিবার নাটাবাড়ির সভায় কোচবিহারের সাংসদ দাবি করেছেন, "প্রদীপ নেভার আগে যেমন দপ দপ করে ওঠে, তৃণমূলের সময়টাও এখন একইরকম। গ্যারান্টি দিয়ে বলে যাচ্ছি আপনাদের, গোটা রাজ্যের যা অবস্থা, তৃণমূলের সংগঠনের যা হাল বহু বিধায়ক আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। বহু নেতা যোগাযোগ রাখছেন আমাদের সঙ্গে। একটা তাসের ঘরের মতো দাঁড়িয়ে রয়েছে তৃণমূল। যে কোনও সময় ভেঙে পড়তে পারে।"
প্রসঙ্গত, শনিবার কাঁথির সভা থেকে বিজেপির অস্তিত্ব সঙ্কটে রয়েছে বলে প্রশ্ন তোলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জোড়াফুল শিবিরের সেনাপতির মন্তব্য ছিল, "এই যে ডিসেম্বর ধামাকা বার বার বলছে ওঁরা, সরকার পড়ে যাবে। আপনি জানেন, আমি দরজা যদি খুলে দিই দলটা থাকবে না। বলুন দরজা খুলব! মনে হয় মাঝেমধ্যে একটু খুলি। আগামী সপ্তাহে না পাঁচ সেকেন্ডের জন্য খুলি। ডিসেম্বর মাসে খুলব! বেশ তাই হল।"
আরও পড়ুন অভিষেকের নির্দেশে চটজলদি কাজ, পদত্যাগ মারিশদা পঞ্চায়েতের তিন মাথার
অভিষেকের চ্যালেঞ্জের পরদিনই নাটাবাড়িতে বড় দাবি করেছেন নিশীথ। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর এই দাবি নিয়ে পাল্টা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী তথা দিনহাটার বিধায়ক বলেছেন, "ও তো কোনওদিন সত্যি কথা বলেননি। সোনার দোকানে ডাকাতি নিয়েও সত্যি কথা বলেন। আদালতের রায়ের পর সবাই জানল। বাংলাদেশ থেকে এসেছে না সত্যিই সত্যিই কোচবিহারের বাসিন্দা তা নিয়েও সন্দেহ আছে। ওঁর কথার গুরুত্ব দেওয়ার প্রশ্ন নেই। কোচবিহারে ওঁকে আর দাঁড় করানোর সাহস আদৌ দেখাবে বিজেপি!"