অগ্নিদগ্ধ হয়ে মৃত্যু একই পরিবারের পাঁচজনের। নিহতদের মধ্যে রয়েছে তিনটি শিশুও। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হেমতাবাদে। সেখানকার ভরতপুর গ্রামের ঘটনায় শিউরে উঠেছেন এলাকাবাসী। পুলিশ এসে পাঁচ জনের দেহ উদ্ধার করে। হাসপাতালে মৃত্যু হয় একজনের।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাড়ির কর্তা রাম ভৌমিক পেশায় ভ্যানচালক। শুক্রবার রাতে অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা যান তিনি, তাঁর স্ত্রী ও তিন মেয়ে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, গায়ে কেরোসিন ঢেলে সপরিবারে আত্মঘাতী হয়েছেন সবাই। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত, তা নিয়ে ধন্দ রয়েছে। পুলিশের অনুমান, আর্থিক অনটনের কারণে সপরিবারে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। অন্য কারণও হতে পারে। তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রতিবেশীদের অনুমান, অভাবের তাড়নায় গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সবাই। রাতের দিকে চিৎকারের শব্দও শোনা গিয়েছিল ঘর থেকে। ভোরের দিকে রাম ভৌমিক সবার গায়ে কেরোসিন ঢেলে দেয় বলে অভিযোগ। খবর জানতে পেরে প্রতিবেশীরা এসে দেখেন, সবাই আগুনে পুড়ে গিয়েছেন।
রাম ভৌমিকের মেয়ে রানি ভৌমিক তখনও বেঁচে ছিল বলে জানা গিয়েছে। তারপর রায়গঞ্জ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় দশ বছরের মেয়েটিকে। কিন্তু সেখানে মৃত্যুর কাছে হার মানে তার লড়াই। রাম ভৌমিক, তাঁর স্ত্রী শঙ্করী, পাঁচ বছরের মেয়ে সরস্বতী ও তিন বছরের মেয়ে ঝর্নার আগেই মৃত্যু হয়। পাঁচজনের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এই ভয়াবহ ঘটনায় এলাকাবাসী শোকস্তব্ধ।