অনন্ত মহারাজের পাশাপাশি এবারের রাজ্যসভা ভোটে ডামি প্রার্তী দাঁড় করিয়েছিল বিজেপি। যা নিয়ে চর্চা চলছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত লড়াই থেকে সরে যান রাজ্য বিজেপির সহ-সভাপতি রথীন্দ্র বসু। মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন তিনি। ফলে, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বাংলা থেকে ৬ জন তৃণমূল প্রার্থী ও বিজেপির অনন্ত মহারাজ রাজ্যসভায় নির্বাচিত হয়ে গেলেন। বিধানসভা সূত্রে খবর, ২৪শে জুলাই আর ভোটাভুটি হবে না, আগামী সোমবারই জয়ী ৭ প্রার্থীর হাতে শংসাপত্র তুলে দেওয়া হবে।
উল্লেখযোগ্য যে, ১৯৮০ সালে বিজেপি গঠনের পর এই প্রথম বাংলা থেকে কোনও রাজ্যসভার সাংসদ পেল গেরুয়া শিবির।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক-ও-ব্রায়েন, উপদলনেতা সুখেন্দুশেখর রায়, শ্রমিক সংগঠনের নেত্রী দোলা সেন, অধ্যাপক সামিরুল ইসলাম এবং আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ বড়াইক ও সমাজকর্মী সাকেত গোখলে। বিজেপির প্রতীকে রাজ্যসভায় গেলেন অনন্ত অধিকারী।
আরও পড়ুন- ফাঁপরে অভিষেক? স্পিকারকে কড়া চিঠি বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র’র! কী লিখলেন?
বিধানসভার বাইরে দলবদল হলেও খাতায় কলমে এখনও পশ্চিমবঙ্গের বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ জন। হিসাব অনুসারে বাংলা থেকে প্রতি এক জন প্রার্থীকে রাজ্যসভায় পাঠাতে প্রয়োজন ৪২ জন বিধায়কের প্রথম পছন্দের ভোট। এক্ষেত্রে এ রাজ্য থেকে এই প্রথম বিজেপির একজনের সংসদের উচ্চকক্ষে যাওয়া নিশ্চিৎ-ই ছিল। বিজেপির অনন্ত মহারাজকে লড়াইয়ে নামিয়েছিল। দলীয় প্রার্থীর প্রয়োজনীয় ভোটের পরও পদ্ম বাহিনীর হাতে থাকত আরও ৩৫টি ভোট। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই বাড়তি ভোট অটুট রাখতেই কৌশলে উত্তরবঙ্গের বিজেপি নেতা রথীন্দ্র ঘোষকে রাজ্যসভা ভোটে দাঁড় করায় গেরুয়া শিবির। এক্ষেত্রে সাখেত গোখলের সঙ্গে লড়াই হত তাঁর। কিন্তু, রথীন্দ্র বসু শেষ দিন, শনিবার প্রার্থীপদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই জয় পেলেন বাংলার ৭ জন প্রার্থী।