মর্মান্তিক কাণ্ডে রক্তের স্রোত! রেহাই মেলেনি শিশুরও! মৃত্যু-মিছিলে হাহাকার! বুক চাপড়াচ্ছেন স্বজনহারারা

Hooghly Gurap Road Accident: মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক ঘটনার পরেই স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরই মধ্যে পুলিশও খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। তবে মৃত্যু মিছিল আটকানো যায়নি। দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন হাসপাতাল চত্বর ফেটে পড়ে স্বজনহারাদের কান্নার আওয়াজে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

Hooghly Gurap Road Accident: মঙ্গলবার এই মর্মান্তিক ঘটনার পরেই স্থানীয়রাই প্রথমে উদ্ধারকাজে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এরই মধ্যে পুলিশও খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে উপস্থিত হয়। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলে উদ্ধারকাজ। তবে মৃত্যু মিছিল আটকানো যায়নি। দ্রুততার সঙ্গে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা হলেও শেষ রক্ষা হয়নি। এদিন হাসপাতাল চত্বর ফেটে পড়ে স্বজনহারাদের কান্নার আওয়াজে। গোটা এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

IE Bangla Web Desk & Nilotpal Sil
New Update
7 people died in a road accident in Gurap Hooghly

Road Accident: দুর্ঘটনায় মৃত্যু মিছিল।

Road Accident: ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনার (Accident) বলি এক শিশু-সহ ৭। মঙ্গলবার এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির (Hooghly) গুড়াপে। দ্রুত গতিতে একটি ডাম্পার সজোরে গিয়ে ধাক্কা মারে যাত্রীবোঝাই একটি টোটোকে। মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনায় কার্যত মৃত্যু মিছিল। হাসপাতালে কান্নার রোল মৃতদের আত্মীয়স্বজনদের।

Advertisment

মঙ্গলবার বেলায় ভয়াবহ এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির চুঁচুড়া-তারকেশ্বর রোডের গুড়াপের কংসারিপুর মোড় এলাকায়। গুড়াপ থানার পুলিশ ডাম্পারটি আটক করেছে। দুর্ঘটনার পরেই রক্তাক্ত যাত্রীদের উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে (Burdwan Medical College and Hospital) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসকরা টোটোচালক-সহ সব যাত্রীদের মৃত বলে ঘোষণা করেন।

পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে মৃতদের নাম বিদ্যুৎ বেড়া (২৯) ও তাঁর স্ত্রী প্রীতি বেড়া (২২) এবং তাঁদের দু’বছর বয়সী পুত্র বিহান বেড়া। এদের বাড়ি হুগলির দাদপুর বক্রেশ্বর এলাকায়। দুর্ঘটনায় মৃত বাকিরা সৃজা ভট্টাচার্য (২০), নুপুর দাস (৫০) এবং তাঁর স্বামী রামপ্রসাদ দাস (৬৩)। সৃজার বাড়ি হুগলির ভাসতারায়। আর দম্পতি রামপ্রসাদ ও নুপুরদেবীর বাড়ি পাণ্ডুয়ায়।

টোটোর সব যাত্রীরা ছাড়াও গুড়াপের ভোতরের বাসিন্দা ২৬ বছরের টোটোচালক সৌমেন ঘোষকেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছেন। এদিন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃতদেহগুলির ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হয়।

Advertisment

আরও পড়ুন- yusuf-Kirti-Shatrughna: ‘ইউসুফ-কীর্তি-শত্রুঘ্নদের ভোট নয়’, তৃণমূলকে ‘টাইট’ দিতে ‘জমাটি কায়দায়’ মাঠে কারা জানেন?

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এদিন যাত্রী নিয়ে টোটোটি চুঁচুড়া-তারকেশ্বর রোড ধরে যাচ্ছিল। পথে গুড়াপের কংসারিপুর মোড়ে বর্ধমানমুখী একটি ডাম্পার সজোরে টোটোটিতে ধাক্কা মারে। যাত্রী সমেত টোটোটি পিষ্ট হয়ে ঢুকে যায় ডাম্পারের নীচে। এরপরেই স্থানীয়রা ছুটে গিয়ে ডাম্পারটি দাঁড় করিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু করেন। তারই মধ্যে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়।

আরও পড়ুন- Suvendu Adhikari: লাগু সিএএ, মুসলিম চাচা-ভাই-বোনদের কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী?

রক্তাক্ত অবস্থায় টোটোচালক-সহ যাত্রীদের ডাম্পারের নীচ থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে শেষরক্ষা হয় নি। চালক-সহ টোটোর সব যাত্রীকেই চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেছেন।

Death Hooghly West Bengal Road Accident