অনুপ্রবেশ রুখতে পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের আট রাজ্যে অভিযান চালাল এনআইএ। মোট ৫৫টি জায়গায় অভিযান চালিয়ে ৪৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই দেশের সীমান্তগুলি দিয়ে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগ উঠছিল। এর পিছনে এক বিরাট চক্র কাজ করছে বলেই খবর পেয়েছিলেন গোয়েন্দারা। সেই সব খবরের ভিত্তিতেই বুধবার ভোরে শুরু হয় অভিযান। এই অভিযানে এনআইএ, বিএসএফ, রাজ্য পুলিশ যৌথভাবে যোগ দিয়েছিল। অভিযানে ত্রিপুরা থেকে ২১ জন, কর্ণাটক থেকে ১০ জন, আসাম থেকে ৫ জন, পশ্চিমবঙ্গ থেকে ৩ জন, তামিলনাড়ু থেকে ২ জন এবং হরিয়ানা, তেলেঙ্গানা ও পুদুচেরি থেকে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এই ব্যাপারে অসম পুলিশের স্পেশাল ডিজিপি হরমিত সিং সংবাদমাধ্যমকে বলেন, 'অসমের করিমগঞ্জ জেলায় পুলিশ ত্রিপুরা থেকে আসা একটি ট্রেনে রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের একদল লোককে শনাক্ত করে। তারপরই অভিযানের গতি বাড়ে। তদন্তে দেখা গেছে, ওই রোহিঙ্গারা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ করেছিল। এর পর, আমাদের নজরদারি এবং অভিযান বৃদ্ধি পায়। ৪৫০ জন অনুপ্রবেশকারী, বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাকে সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সহায়তায় থামিয়ে বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। পরে অনুসন্ধান ও জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দালালরা এই অনুপ্রবেশের নেটওয়ার্ক চালাচ্ছে। শুধু অসমেই নয়, বাংলাদেশ এবং ভারতের মূল ভূখণ্ডের বিভিন্ন স্থানেও অনুপ্রবেশকারীরা রয়েছে।'
আরও পড়ুন- স্পিকার বিমানের জবাব আর রেখেঢেকে নয়, একদম খুল্লামখুল্লা রাজ্যপাল
বিষয়টি জাতীয় সুরক্ষার পক্ষে উদ্বেগের ব্যাপার, একথা বুঝতে পেরে অসম সরকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের মাধ্যমে একটি মামলা এনআইএর হাতে তুলে দেয়। বিবৃতিতে এনআইএ জানিয়েছে, তদন্তে দেখা গেছে যে অনুপ্রবেশের একটি নেটওয়ার্ক বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে তিনটি নতুন মামলা নথিভুক্ত করা হয়। এই মামলাগুলো দায়ের হয়েছে চেন্নাই, বেঙ্গালুরু এবং জয়পুরে। বুধবার, এনআইএ জানিয়েছে, 'ধৃতদের বিচার বিভাগীয় আদালতে হাজির করা হবে। অনুপ্রবেশ চক্রগুলো চলতে থাকলে তা দেশের জনবিন্যাসকেই বদলে দেবে। যা দেশের সুরক্ষার পক্ষে চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।'