Advertisment

রাজ্য়ের ৯টি স্থাপত্য়কে হেরিটেজের তকমা

রাজ্য হেরিটেজ কমিশন ইতিমধ্যেই এই সব বাড়িগুলিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে যে এই স্থাপত্যগুলির মধ্যে অবস্থিত জমি, মন্দির এবং বাড়ি হাত বদল করা যাবে না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

ইতিহাসের প্রতিটি সময়ের সাক্ষী এই সব বাড়ি। সময়ের নিয়ম মেনেই ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু এই সব স্থাপত্যগুলোকে এবার আন্তর্জাতিক হেরিটেজ তকমা দিল রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। রাজ্যের মোট ৯টি প্রাচীন স্থাপত্য এই তকমার অধিকারী হয়েছে। কলকাতা-সহ ব্যারাকপুর, চন্দননগর এবং হুগলির প্রাচীন মন্দির, ঐতিহাসিক ব্যক্তিদের বাড়ি এই তালিকায় নিজেদের স্থান করে নিয়েছে। রাজ্য হেরিটেজ কমিশন ইতিমধ্যেই এই সব বাড়িগুলিকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছে, এই স্থাপত্যগুলির মধ্যে অবস্থিত জমি, মন্দির এবং বাড়ি হাত বদল করা যাবে না। এমনকি শিল্পের এই প্রাচীন নিদর্শনগুলোর দেওয়ালে কোনও রকম হোর্ডিং এবং পোস্টার দেওয়াও নিষিদ্ধ।

Advertisment

আরও পড়ুন- দেবীপক্ষের আগেই ‘নতুন কায়দা’য় পুজো উদ্বোধন মমতার

হেরিটেজ তালিকায় নাম রয়েছে ব্যারাকপুরে দক্ষিণেশ্বরের আদলে তৈরি শিবশক্তি অন্নপূর্ণা মন্দির, হুগলীর ব্রাহ্মময়ী কালিমাতা মন্দির। পাশাপাশি ব্যারাকপুরের 'নীলকর সাহেব' স্টুয়ার্ট সাহেবের বাড়ি, সেন্ট বার্থোলোমিউস ক্যাথিড্রালও এই তালিকায় রয়েছে। এক সময়ের ফরাসী উপনিবেশ চন্দননগরের কৃষ্ণভাবিনী নারী শিক্ষা মন্দির, অরবিন্দ ঘোষের ভাবধারায় তৈরি প্রবর্তক সংঘের সদর দফতর এবং নন্দলাল ভড়ের বাড়িটিকেও হেরিটেজ তকমার আওতায় এনেছে কমিশন।

আরও পড়ুন- ‘আমার কোনও উদ্দেশ্য নেই, সংবিধানকে বাঁচাতেই আমার এখানে আসা’

অন্যদিকে, কলকাতার ভবানীপুরে অবস্থিত কমনওয়েলথ ওয়ার গ্রেভ সিমেট্রি এবং কলেজ স্ট্রিটের দেব সাহিত্য কুটীরের বাড়িটিকেও হেরিটেজ ঘোষণা করেছে রাজ্য হেরিটেজ কমিশন। স্থাপত্য়গুলো সবই একশো বছরের বেশি প্রাচীন। এই স্থানগুলোকে পর্যটনকেন্দ্র হিসাবে তুলে ধরার কথাও ভাবছে হেরিটেজ কমিশন।

kolkata heritage
Advertisment