একা করোনায় রক্ষা নেই এরওপর আবার গরম কাল। ফলে রাজ্য জুড়ে রক্তের সংকটের আশঙ্কা। এমতাবস্থায় বাংলায় রক্তের যোগান স্বাভাবিক রাখতে সোমবারই বিশেষ নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের ব্লাডব্যাঙ্কগুলিতে যাতে রক্ত সংকট না দেখা দেয়, সে জন্য পুলিশদেরই রক্ত দানের নির্দেশ দেন পুলিশমন্ত্রী মমতা। সেই নির্দেশ মেনেই মঙ্গলবার কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়াম, বারাসাতের দোলতলা পুলিশ লাইনের মতো কয়েক জায়গায় আয়োজিত হল রক্তদান শিবির।
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
আরও পড়ুন: ‘মমতা যা করেছেন সবটাই রাজনীতি, মোটেই সেবা নয়’, করোনায় বেনজির আক্রমণ দিলীপের
সাধারণত গ্রীষ্মকালে রক্তের জন্য হাহাকার দেখা যায় রাজ্যে। এ সময়ে রক্তশূন্য অবস্থা রাজ্যের ব্লাডব্যাঙ্কগুলিই। এর ওপর আবার করোনার ত্রাসে কাঁপছেও গোটা দুনিয়া। এমন পরিস্থিতিতে জরুরিকালীন রক্তের প্রয়োজনে যাতে রোগীর পরিবার নিরাশ না হয় তাই মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতার এমন নির্দেশ বলে মনে করা হচ্ছে। সেই আবহেই এদিন উত্তর ২৪ পরগণায় দোলতলা পুলিশ লাইনে রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়। বারাসাত অঞ্চলে দীর্ঘদিন ধরে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে চলেছেন জীবনছাত্র সংগঠন। এবার পুলিশের এই উদ্যোগে পাশে দাঁড়িয়েছে তাঁরাও।
এক্সপ্রেস ফোটো- শশী ঘোষ
আরও পড়ুন: লকডাউনে বাড়িতে থাকলেই মিলবে দার্জিলিং ভ্রমণের সুযোগ!
উল্লেখ্য, করোনা আতঙ্কে লকডাউনে রাজ্যের সর্বত্র বন্ধ হয়েছে রক্তদান শিবির। কোভিড-১৯ ভাইরাসের করোনা সংক্রমণের আশঙ্কায় কোনও ক্লাব বা স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শিবিরের আয়োজন করতে পারেনি। তবে এ পরিস্থিতিতেও কীভাবে রক্তের যোগান অব্যাহত থাকবে, সে জন্য তৈরি হয়েছে নির্দেশিকাও। জানা যাচ্ছে বিভিন্ন অঞ্চলের ক্লাব ও সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করে রক্তদাতাদের তালিকা তৈরী করবে পুলিশ-প্রশাসন। এক্ষেত্রে মোট সংখ্যা থাকবে পঞ্চাশের মধ্যে। ইচ্ছুক রক্তদাতাদের শিবিরে নিয়ে আসা ও বাড়ি পৌঁছে দায়িত্বে থাকবে পুলিশই। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে রক্তদানের আগে চিকিৎসক দিয়ে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া হবে রক্ত। এছাড়াও সদ্য অন্যত্র থেকে বাংলায় এসেছেন এমন কাউকে অনুমতি দেওয়া হবে না এমনটাও জানান হয়েছে।