প্রায় একরাত নিখোঁজ থাকার পর ডালখোলায় উদ্ধার সিপিএম কর্মীর দেহ। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে সিপিএম। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম রফিক আলম, বয়স ৫৬ বছর। এই মৃত্যুর ঘটনায় প্রকৃত তদন্ত চেয়ে পুলিশের ওপর চাপ বাড়িয়েছে ওই বাম দল। সিপিএমের অভিযোগ, ‘গত কয়েকমাসে এটা দ্বিতীয় ঘটনা, যখন তাদের দলের এক কর্মীর দেহ উদ্ধার হল। এর বাড়ির সামনেই গুলিবিদ্ধ এক সিপিএম কর্মীর দেহ উদ্ধার হয়েছিল।‘
পরিবার সূত্রে খবর, রবিবার রাত থেকে নিখোঁজ ছিলেন রফিক। সোমবার সকালে স্থানীয়রা এক পেট্রোল পাম্পের সামনে তাঁর দেহ দেখতে পান। পুলিশে খবর দিলে, তারা এসে দেহ রায়গঞ্জ সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠায়। সেখানেই ময়না তদন্তের পর সোমবার সন্ধায় সম্পন্ন হয় তাঁর শেষকৃত্য।
প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের জানিয়েছে, ‘ধারালো কিছু দিয়ে তাঁকে আঘাত করা হয়েছিল। তদন্ত চলছে, এখনও মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যায়নি।‘ স্থানীয়দের দাবি, ‘পেট্রোল পাম্পের পাশের একটা ঝোপ থেকে রফিকের দেহ উদ্ধার হয়েছে। শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।‘ সিপিএমের জেলা নেতৃত্বের অভিযোগ, ‘এলাকায় সন্ত্রাস পরিবেশ তৈরি করতে আলমকে খুন করেছে তৃণমূল।‘ যদিও স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মনোজ সিনহা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। এই মৃত্যুর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই দাবি করে ওই বিধায়ক বলেন, ‘প্রকৃত তদন্ত সত্য সামনে আনবে।‘
এদিকে, রবিবার রাতেই বরুণ ঘোষ নামে এক তৃণমূল কর্মী মুর্শিদাবাদে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। কান্দির এই তৃণমূল কর্মীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেদিন রাতে বাড়ি ফেরার পথে বরুণের ওপর হামলা হয়। এমনটাই তৃণমূলের অভিযোগ। কান্দি পঞ্চায়েত অফিসের সামনে তাঁর বুক লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। তাদের অভিযোগ, রাজনৈতিক শত্রুতার জেরেই আক্রান্ত বরুণ। যদিও প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান, ‘ব্যক্তিগত শত্রুতা এই গুলি চালানোর নেপথ্যে।‘ দেনা-পাওনা সংক্রান্ত পুরনো বিবাদের জেরে এই আক্রমণ। পুলিশের কাছে এই অভিযোগ করেছে পরিবার। পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে ব্যক্তিগত শত্রুতা মনে হচ্ছে। তদন্ত চলছে।‘