তীব্র গরমের হাত থেকে রেহাই দিয়ে রবিবার আবহাওয়া দফতরের পূর্ব ঘোষণামত ঝড়-বৃষ্টি বয়ে গেল দক্ষিণবঙ্গে। আর, তারই মধ্যে ল্যাম্পপোস্টে থেকে আগুন ছড়িয়ে পড়ল শহর কলকাতার উপকণ্ঠে বাঙুরে। রবিবার সন্ধ্যায় যাকে ঘিরে তীব্র উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যান স্থানীয় বিধায়ক তথা দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। পাশাপাশি, দমকলের ৬টি ইঞ্জিনও দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয়।
দমকল সূত্রে এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি ল্যাম্পপোস্ট থেকে আগুনটি লেগেছে। বাঙুর এলাকায় অনেকগুলো বহুতল রয়েছে। আগুন তারই মধ্যে একটি বহুতলে ছড়িয়ে পড়েছে। যার জেরে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। ওই বহুতলের বাসিন্দাদের দ্রুত সেখানে থেকে বের করে আনা হয়েছে বলেই প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
এখনও পর্যন্ত হতাহতের কোনও খবর নেই। তবে, তাতেও উদ্বেগ কমছে না। কারণ, কাছেই রয়েছে পেট্রোল পাম্প। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা না-গেলে সেই পেট্রোল পাম্পের দিকে ছড়ালে বড় বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা করছে প্রশাসন। পাশাপাশি, যাতে আশপাশের বহুতলে আগুন ছড়াতে না-পারে, সেই চেষ্টাও মরিয়া হয়ে চালাচ্ছেন দমকলকর্মীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কয়েকজন জানিয়েছেন, যে বহুতলে আগুন লেগেছে, তার নীচে রয়েছে গুদাম। সেখানে বেশ কিছু দাহ্য পদার্থ ছিল। তার ফলে, আগুন আরও দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে পড়ে। ওই বহুতলের দুটি ফ্ল্যাটেও আগুন ধরে যায়। গোটা এলাকা কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। আশপাশের বহুতল থেকেও বাসিন্দারা বেরিয়ে আসেন। কৌতূহলী এবং উদ্বিগ্ন স্থানীয় বাসিন্দাদের অগ্নিকাণ্ডের মূল জায়গা থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।
আরও পড়ুন- ‘২৪০ আসন নিয়ে ফিরবে তৃণমূল’, ছাব্বিশের টার্গেট বেঁধে দিলেন অভিষেক
দমকলমন্ত্রী নিজে গোটা আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজের তদারকি করছেন। দমকল দফতরের অন্যান্য উচ্চপদস্থ আধিকারিকরাও ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য দমকলের আরও ইঞ্জিন আনা হচ্ছে বলেই দমকল কর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে। শেষ পর্যন্ত পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, সেই ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। দিনটা রবিবার হওয়ায় বহু অফিস, কারখানাই, দোকানও বন্ধ। বহুতলের যে গুদামে আগুন লেগে গিয়েছে, সেটাও বন্ধ ছিল। এতে বড় বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া গিয়েছে বলে বাসিন্দাদের অনেকে মনে করছেন।