করোনা অতিমারীর প্রভাব শিথিল হতেই খুদে পড়ুয়াদের স্বার্থে শুরু হয়েছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'। সেই শিক্ষালয় নিয়েই এবার গান রপ্ত করে ফেলেছে পূর্ব বর্ধমানের খুদে ছাত্র অভিষেক সানা। জেলার বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভিষেক। খুদে পড়ুয়ার গাওয়া গানে মজেছে বাকি পড়ুয়ারাও। 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচীকে অন্য মাত্রা এনে দিচ্ছে অভিষেকের গান, বলছেন শিক্ষক-শিক্ষিকারা।
Advertisment
করোনার কোপে শিকেয় উঠেছিল শিক্ষা। একটানা মাসের পর মাস ধরে বন্ধ ছিল স্কুল, কলেজ-সহ অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে সংক্রমণ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসতেই ফের তালা খুলেছে স্কুল, কলেজের। তবে স্কুলে এখনই সব শ্রেণির ক্লাস চালু হয়নি। অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়ে ক্লাসের সুযোগ পাচ্ছে।
প্রাক-প্রাথমিক থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়াদের জন্য রাজ্য সরকারের উদ্যোগে চালু হয়েছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি। রাজ্যজুড়ে স্কুলের কাছে ফাঁকা জায়গায় চলছে পঠন-পাঠন।
রাজ্যের অন্যান্য প্রান্তের পাশাপাশি পূর্ব বর্ধমানেও চলছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়' কর্মসূচি। বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি বিদ্যালয় প্রাঙ্গণেও চলছে এই কর্মসূচি। তবে এখানে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'-এ অন্য মাত্রা যোগ করেছে এক খুদে পড়ুয়ার গাওয়া গান। স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র অভিষেক সানা।
নিজের 'সংগীতগুরু' মঙ্গল কালিন্দির শেখানো গান রীতিমতো রপ্ত করে ফেলেছে ছোট্ট অভিষেক। ওই গান গেয়েই 'পাড়ায় শিক্ষালয়' মাতাচ্ছে অভিষেক। খুদে পড়ুয়ার গানে মজেছে বাকি শিশুরাও। পড়াশোনার পাশাপাশি অভিষেকের গান শোনাও এখন বাড়তি পাওনা কচিকাঁচাদের কাছে।
বড়শুল নিম্ন বুনিয়াদি স্কুলে পাড়ায় শিক্ষালয় কর্মসূচি দেখতে এসেছিলেন বর্ধমান সদর ২ ব্লকের বিডিও সুবর্ণা মজুমদার। তিনি বলেন, ''করোনা অতিমারির কারণে পড়ুয়ারা দীর্ঘদিন স্কুলমুখী হতে পারেনি। তাদের কথা ভেবেই 'পাড়ায় শিক্ষালয়’ চালুর উদ্যোগ রাজ্য সরকারের।'' স্কুলের শিক্ষক অনুপম সাধু বলেন, ''প্রায় দু'বছর স্কুল বন্ধ ছিল। 'পাড়ায় শিক্ষালয়'-এ আবার ফিরে এসেছে খুদে পড়ুয়াদের কোলাহল। আমরা শিক্ষকরাও খুশি। এখানে উপরি পাওনা হিসাবে মিলছে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্র অভিষেক সানার গান।''