Bengal Hooch Tragedy: ২০১১ মগরাহাট বিষমদ-কাণ্ডে যাবজ্জীবন সাজা নূর ইসলাম ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশার। সোমবার আলিপুর আদালত এই সাজা ঘোষণা করেছে। সে বছর ১৩ ডিসেম্বর মগরাহাটের সংগ্রামপুরে বিষমদ খেয়ে অন্তত ১৭৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। শনিবার এই আদলতই বাদশাকে দোষী সাব্যস্ত করে এদিন সাজা ঘোষণার দিন ধার্য করেছিল। তবে আদালতের রায়ে অখুশি বাদশার আইনজীবী উচ্চ আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে, সংগ্রামপুর বিষমদ কাণ্ডে শনিবার খোঁড়া বাদশাকে খুন, গুরুতর আঘাত-সহ ৪টি ধারায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বাকি ৭ অভিযুক্তকে বেকসুর খালাস করেছে আদালত। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে সংগ্রামপুরে বিষমদ খেয়ে মৃত্যু হয় মগরাহাট, উস্তি-সহ ডায়মন্ড হারবার মহকুমার ১৭৩ জনের। এই ঘটনায় মগরাহাট এবং উস্তি থানায় দু’টি পৃথক মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছিল পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্বভার যায় সিআইডি-র হাতে। তদন্তে জানা গিয়েছিল, যে চোলাই মদ খেয়ে প্রাণহানি। সেই চোলাই মদ বানাত কুখ্যাত ডন নূর ইসলাম ওরফে ফকির ওরফে খোঁড়া বাদশা।এই ঘটনা সেই সময় সংগ্রামপুর বিষমদকাণ্ড নামে রাজ্যে সাড়া ফেলেছিল। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন রাজ্য সরকার।
এদিকে, এই ঘটনায় মৃত ১৭৩ জনের মধ্যে ৪৬ জনের মৃত্যুর ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছিল উস্তি থানায়। অভিযুক্ত ছিলেন ১২জন। দু’জন এখনও পলাতক। মূল অভিযুক্ত খোঁড়া বাদশা ও তাঁর স্ত্রী-সহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি। চার্জশিট পেশ করা হয়েছিল ২০১২ সালে।
যদিও সেই সময় খোঁড়া বাদশা এবং বাকি অভিযুক্তদের ফাঁসির দাবিতে উত্তাল হয়েছিল উস্তি। মৃতদের পরিবারের দাবি, খোঁড়া বাদশাদের বানানো বিষাক্ত চোলাই খেয়ে উস্তির ভারীউড়ান-সহ পার্শ্ববর্তী গ্রামের মৃত্যু হয়েছিল একের পর এক। খোঁড়া বাদশাদের দাপটে কেউ টু শব্দ করতে পারত না মদের ঠেকের বিরুদ্ধে। যদিও সেই ঘটনার পর এখন সেসব ঠেক নেই। গ্রামের লোকই ঠেক ভেঙে দেন। তার পর থেকে পুলিশের নজরদারিও বাড়ে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন