A large amount of cannabis was recovered: এবার বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার হল বারাসতে। ঘটনায় ৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বারাসত থানা এবং বারাসত পুলিশ জেলা (Barasat Police District)-এর আধিকারিক গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এই অভিযান চালান। আর, তারপরই এই বিপুল পরিমাণ গাঁজা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
বর্তমানে লোকসভা নির্বাচন চলছে। ইতিমধ্য়ে একাধিক পর্ব সম্পন্নও হয়ে গিয়েছে। আরও কয়েকটি পর্ব আয়োজন বাকি। এই পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে নিরাপত্তার কড়াকড়ি তুঙ্গে উঠেছে। অভিযোগ উঠেছে, গাঁজার মত মাদক ব্যবহার করে দুষ্কৃতীরা অর্থ সংগ্রহ করছে। দেশের অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা চালাচ্ছে। আর, এই মাদক ব্যবসায়ীদের নেটওয়ার্ক অত্যন্ত শক্তিশালী বলেও অভিযোগ উঠেছে।
এই পরিস্থিতিতে নানা বাধ্যবাধকতার কারণে সোর্স মারফত খবর পাওয়ার পরও পুলিশ আধিকারিকরা অপরাধীদের টিকি ছুঁতে পারছিলেন না। কিন্তু, ভোট ঘোষণার পর অনেক অফিসারের রদবদল হয়েছে। প্রশাসন এখন কার্যত নির্বাচন কমিশনের অধীনে। এই পরিস্থিতিতে দুষ্কৃতীমুক্ত পরিবেশে স্বচ্ছভাবে নির্বাচনের জন্য পুলিশ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে লাগাতার অভিযান চালাচ্ছে।
আগেই অবশ্য উত্তর ২৪ পরগনার মত বিভিন্ন জায়গায় মাদকের বাড়বাড়ন্ত নিয়ন্ত্রণে বাছাই পুলিশকর্মীদের নিয়ে 'স্পেশ্যাল অপারেশন গ্ৰুপ' গঠন করা হয়েছে। সেই 'স্পেশ্যাল অপারেশন গ্ৰুপ'-এর কাছে গোপন সূত্রে পাকা খবর এসেছিল যে এলাকায় বিপুল পরিমাণ গাঁজা ঢুকেছে। সেই মতো সন্ধে নাগাদ বারাসত থানার বনমালীপুরে নাকা তল্লাশি চালান 'স্পেশ্যাল অপারেশন গ্ৰুপ'-এর পুলিশকর্মীরা। নেতৃত্বে ছিলেন এসডিপিও বারাসাত।
ঘটনার সময় মাদক পাচার করার চেষ্টা চালাচ্ছিল দুষ্কৃতীরা। গোপন সূত্রে পাওয়া নির্দিষ্ট খবরের ভিত্তিতে তদন্তকারীরা দুটি গাড়ি থামান। যার মধ্যে একটি গাড়ি ছিল মারুতি সুজুকি। গাড়িটির নম্বর- WB 24 A 6333। অপর গাড়িটি আবার, মারুতি এর্টিগা। যার নম্বর- WB 98 C 1784। এই দুটি গাড়িতে আরোহীর সংখ্যা ছিল সাত জন। ওই গাড়ি দুটিতেই তল্লাশি চালিয়ে বিপুল পরিমাণ গাঁঁজা উদ্ধার হয়েছে। পাশাপাশি, উদ্ধার হয়েছে নগদ টাকাও। এই ঘটনায় অভিযুক্ত সাত জনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে গাড়িদুটি।
আরও পড়ুন- বাংলায় বিজেপি নেতার গাড়ি থেকে লাখ লাখ টাকা উদ্ধার! চরম চাঞ্চল্য
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃতরা এক বড় গ্যাংয়ের সদস্য। কোথা থেকে তারা গাঁজা নিয়ে এসেছিল, কোথায় বা তা পাচারের ছক কষছিল, সেই ব্যাপারে বিস্তারিত তদন্ত চলছে। প্রাথমিকভাবে এই ঘটনায় বেশ কয়েকজনের নাম জানতে পেরেছেন পুলিশকর্মীরা। সন্দেহভাজনদের ওপর নজর রাখা হচ্ছে বলেই পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।