বিস্তর তর্ক-বিতর্কের পর অবশেষে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বসলো সিসি ক্যামেরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের গেট, পুরুষ ও মহিলা হস্টেলের প্রবেশ দ্বারে সিসি ক্যামেরা বসানো হবে। কিন্তু, আপাতত শুধুমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটেই বসানো হচ্ছে সিসি ক্যামেরা। কেন সর্বত্র ক্যামেরা বসানো গেল না? তা নিয়ে এবার বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
মোট ২৯টি সিসি ক্যামেরা যাদবপুরে বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে আছে ৬টি অত্যাধুনিক এএনপিআর ক্যামেরাও। এএনপিআর ক্যামেরায় যে কোনও গাড়ি বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ঢুকলে তার নম্বর প্লেটের ছবি ধরা পড়বে। এছাড়া ২১টি হাইএন্ড বুলেট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। সিসিটিভি মনিটরিং-এর জন্য প্রস্তুত রয়েছে সার্ভার রুম। বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটগুলিতেই আপাতত অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে বসছে সিসি ক্যামেরা। প্রতি গেটে দু’টি করে ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। পাশাপাশি, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনেও সিসি ক্যামেরা নজরদারি থাকছে। এই সিসি ক্যামেরাগুলির মেমারি ৩০ দিনের ক্ষমতা সংরক্ষণ সম্পন্ন।
গত ৯ অগাস্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরুষ হস্টেলে স্নাতকস্তরের প্রথম বর্ষের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। ব়্যাগিংয়ের জেরেই ওই ছাত্রর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান পড়ুয়া ও প্রাক্তনী মিলিয়ে মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পড়ুয়া মৃত্যুর পর প্রায় দেড় মাস অতিক্রান্ত। প্রশ্ন উঠেছিল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে। কেন ইউজিসি'র নির্দেশিকা সত্ত্বেও বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি লাগানো হয়নি তা নিয়েও বিতর্কের ঝড় ওঠে।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ক্যাম্পাসে সিসিটিভি লাগানো সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু, পড়ুয়াদের একাংশ 'নজরদারি'র প্রশ্ন তুলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে মুখর হয়েছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত যাদবপুরে বসছে সিসি ক্যামেরা। যদিও তা নিয়েও বিতর্ক থেকেই গেল।
আরও পড়ুন- মমতা ঘনিষ্ঠ তারকা বিধায়ক গেলেন বাড়িতে, সিপিএমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ প্রাক্তন সাংসদ কি তৃণমূলে?