Advertisment

'পাড়ায় শিক্ষালয়ের' জন্য কী কী নির্দেশিকা জারি করা হল, জেনে নিন

প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

শুরু হতে চলেছে পাড়ায় শিক্ষালয়! নয়া উদ্যোগ রাজ্য সরকারের

আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারি থেকে নবান্নের নির্দেশে খুলে যাচ্ছে রাজ্যের স্কুল। তবে শ্রেণীকক্ষে ক্লাস শুরু হতে চলেছে অষ্টম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত। অন্যদিকে ৭ ই ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হতে চলেছে ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ কর্মসূচি। পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে পড়ুয়াদের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, শিক্ষা সহায়করা। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প। পাড়ায় শিক্ষালয় প্রকল্পে পড়ুয়াদের পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে ক্লাস নেবেন স্কুলের শিক্ষক (Teachers), পার্শ্বশিক্ষক (Para Teachers), শিক্ষা সহায়করা। জানা যাচ্ছে, প্রায় ৮০ লক্ষ প্রাথমিক পড়ুয়ার জন্য এই প্রকল্প। এই মুহূর্তে শুধুমাত্র প্রাথমিক স্তরে ভাবনা রাজ্য সরকারের। করোনা আবহে যেহেতু প্রায় ২ বছর স্কুল বন্ধ, তাই ছোটদের বিকল্প ক্লাসের ভাবনা বলেই শিক্ষা দফতর

Advertisment

সেক্ষেত্রে ইতিমধ্যে জেলার শিক্ষা দপ্তরের পক্ষ থেকে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। কচিকাঁচাদের অনলাইনে পড়াশোনার সঙ্গে খাপ খাওয়ানোর ক্ষেত্রে যেমন সমস্যা তেমনই প্রান্তিক পরিবারের অনেক পড়ুয়াদের ক্ষেত্রে অনলাইনে ক্লাসের সুবিধা নেওয়াটা কিছুটা আর্থিকভাবেও সমস্যার। একদিকে দীর্ঘদিন স্কুল বন্ধ, অন্যদিকে অনলাইন পড়াশোনার ক্ষেত্রে একাধিক সমস্যার কথা মাথায় রেখেই কচিকাঁচাদের যাতে পড়াশোনায় ফের গতি আনা যায়, সেই লক্ষ্যেই পাড়ায় শিক্ষালয়ের পদক্ষেপ।

নির্দেশিকা অনুযায়ী সোম থেকে শনি পর্যন্ত ‘পাড়ায় শিক্ষালয়’ চলবে। ছাত্র-ছাত্রীদের দুই অর্ধে পড়াতে হবে, যথা- সকাল ১০.৩০ থেকে ১২.৩০ টা এবং বেলা ১.৩০ থেকে ৩.৩০ পর্যন্ত ক্লাস হবে। মাঝে ১ ঘন্টা টিফিন বিরতি। ক্লাসের ক্ষেত্রে প্রতি অর্ধে শিক্ষক বদল হতে পারে। কিন্তু সার্বিকভাবে শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলাবে না। ক্লাসের শুরুতে স্কুলের মতন করে প্রার্থনা হবে। পাশাপাশি কোন ছাত্র বা ছাত্রী কোন পাড়ার শিক্ষালয়ে যাবে এবং কী কী প্রস্তুতি নিয়ে যাবে তা অভিভাবকদের আগামী ৩ রা ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রাথমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের জানাতে হবে।

একই সঙ্গে বলা হচ্ছে, পাড়ার নাম অনুসারে শিক্ষালয়কে চিহ্নিত করতে হবে ব্যানার টানিয়ে। এবং তার খরচ দিতে হবে স্কুলের ‘কম্পোজিট গ্রান্ট’ থেকে। কতজন ছাত্র ছাত্রী একটি পাড়া থেকে পাড়ার শিক্ষালয়ে আসবে, সেটাও ঠিক করতে হবে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। ২০ থেকে ২৫ জনের বেশি পড়ুয়া যেন না থাকে একটি শিক্ষালয়ে। অন্যদিকে পড়ুয়াদের বসার জন্য চট বা শতরঞ্জির ব্যবস্থা করতে হবে এবং সেগুলি নিয়মিত স্যানিটাইজ করতে হবে। থাকতে হবে অস্থায়ী শৌচালয়। দীর্ঘ সময় পর পঞ্চম থেকে সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা শুরু হতে চলেছে। তবে সেক্ষেত্রে ‘পাড়ার শিক্ষালয়’ কতটা কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করবে পড়ুয়াদের জন্য, সেদিকে নজর থাকবে ওয়াকিবহাল মহলের।

এদিকে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল বন্ধ থাকার ফলে অনেক পড়ুয়ায় পড়াশোনায় উৎসাহ হারাচ্ছে। বাড়ছে স্কুলছুটদের সংখ্যা। সেই কথা মাথায় রেখে পড়ুয়াদের পড়াশোনার স্রোতে ফেরাতে পাড়ায় পাড়ায় শিক্ষালয় চালু করার কথা ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। মূলত প্রাথমিক স্তরের কচিকাঁচাদের পড়াশুনা চালু করার জন্যই এই নয়া উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার।

set of guideline school in the neighborhood
Advertisment