এক্স-ম্যান ছবির ম্যাগনিটোর খোঁজ মিলল উত্তরবঙ্গে! ৭ তারিখ কোভিশিল্ড নিয়েছেন শিলিগুড়ির ভক্তিনগরের এক ব্যক্তি। আর শনিবার থেকে তাঁর শরীরে চৌম্বকক্ষেত্র তৈরি হয়েছে! ফলে যেকোনও ধাতব জিনিস আটকে থাকছে সেই দেহে। চাঞ্চল্যকর এই দাবি করে গবেষকদের কপালে ভাঁজ ফেলেছেন ভক্তিনগরের এক ব্যক্তি। তবে শুধু শিলিগুড়ি নয়, দিন দুয়েক আগে একই দাবি করেছিলেন মহারাষ্ট্রের নাসিকের অরবিন্দ সোনার।
সংবাদমাধ্যমকে অরবিন্দবাবু বলেছেন, ‘কোভিশিল্ডের দুটি ডোজ নেওয়ার পর থেকেই তাঁর শরীরে চৌম্বকীয় ক্ষেত্র তৈরি হয়। ধাতব জিনিস আটকে যায় দেহে। নড়াচড়া করলেও খসে পড়ে না চামচ, হাতা, কয়েন কিংবা থালা।‘ একই ছবি শিলিগুড়ির ভক্তিনগরে।
যেখানে সেই প্রৌঢ়ের বাড়ি গিয়ে দেখা গিয়েছে, গায়ে থালা, কয়েন এবং চামচ সেঁটে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি। ক্যামেরার সামনে শরীরকে একটু ঝাকুনিও দিলেন তিনি। কিন্তু খসে পড়ল না কোনও ধাতব বস্তু। ঠিক যেন রজনীকান্তের রোবট। সেখানে থালাইভা হাত দিয়েই টেনে নিচ্ছিল বন্দুক, গুলি ও অন্য ধাতব বস্তু। তবে শিলিগুড়ি বা নাসিকে কেন এমনটা হল? খতিয়ে দেখতে সেই ব্যক্তির রক্তের নমুনা সংগ্রহ করবে শিলিগুড়ি মহকুমা হাসপাতাল। তারাও এই মুহূর্তে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে নারাজ। পরীক্ষামূলক পদ্ধতি অবলম্বন করেই এই বিকল্পের উৎস খুঁজতে চায় চিকিৎসকরা।
এই ঘটনার পর স্পষ্টতই কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে সরব নাসিক এবং শিলিগুড়ির দুই পরিবার। যদিও এখনই সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। এমনটাই জানান চিকিৎসকরা। তাঁদের মন্তব্য, ‘কোভিশিল্ড হিউম্যান ট্রায়ালের সময় এই ধরণের কোনও ঘটনা সামনে আসেনি। এখন খতিয়ে দেখতে হবে কেন ওই দুই ব্যক্তির সঙ্গেই এমনটা হল।‘
তাঁদের সংযোজন, ‘দেশে প্রায় ২০ কোটি মানুষের টিকাকরণ হয়ে গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৭-১০ জনের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটলে সত্যি সেটা বিরল থেকে বিরলতম। সেভাবেই গবেষকদের কারণ অনুসন্ধান করতে হবে। কিন্তু এই ঘটনা নিয়ে হইচইয়ের কোনও কারণ নেই। তাতে টিকাকরণ নিয়ে ভুল বার্তা যাবে। আর মহামারীর সঙ্গে যুদ্ধে টিকাকরণ অন্যতম রক্ষাকবচ।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন