Advertisment

কিশোরের মাথা খুবলে খেল ভাল্লুক, 'মানুষখেকো' প্রাণী পিটিয়ে মারল জনতা

বনদফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা।তবে ভাল্লুকটি মেটেলি চা বাগানে কীভাবে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে সংশয়ে বন কর্তারা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
A tenager died due to Bear attack at jalpaiguris Meteli tea garden

মেটেলি চা বাগানে বনকর্মীরা। ছবি: সন্দীপ সরকার

ভাল্লুকের হানায় প্রাণ গেল কিশোরের। উত্তেজিত জনতা পিটিয়ে মারল 'মানুষখেকো' ভাল্লুককে। চাঞ্চল্যকর ঘটনা ডুয়ার্সের মেটেলি চা বাগানে। বনদফতরের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। ভাল্লুকটি মেটেলি চা বাগানে কীভাবে ঢুকে পড়ল তা নিয়ে সংশয়ে বন কর্তারা।

Advertisment

ডুয়ার্সের জঙ্গলে হাতি, গণ্ডার, বাইসন, লেপার্ড এমনকী ব্ল্যাক প্যান্থারের মতো হিংস্র প্রাণির দেখা মিললেও এর আগে ভাল্লুক কবে দেখা গিয়েছে তা মনে করতে পারেননি কেউই। বুধবার দুপুরে জঙ্গল ছেড়ে ডুয়ার্সের জলপাইগুড়ি জেলার মেটেলি চা বাগানে বেড়িয়ে পড়ে একটি পূর্ণবয়স্ক ভাল্লুক। আর ভাল্লুক দেখতে গিয়েই ঘটল বিপত্তি। ভাল্লুকের হানায় প্রাণ গেল চা বাগানেরই এক কিশোরের। জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে চা বাগানে পাতা তোলার সময় চা শ্রমিকরা বিশালাকার ভাল্লুকটিকে দেখতে পান। বাগানের ১৩ নম্বর সেকশনে ছিল ভাল্লুকটি।

চা বাগানে ভাল্লুক ঢুকে পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে যায়। কচিকাঁচা থেকে শুরু করে বড়রাও ভাল্লুক দেখতে বাগানে ভিড় করেন। তবে ভাল্লুক যে ঠিত কতটা হিংস্র হতে পারে সেই ধারণা ছিল না তাঁদের। একটা সময় উৎসুক জনতার খুব কাছে চলে আসে ভাল্লুকটি। আচমকাই ভাল্লুকটি বিদেশ খালকো নামে এক কিশোরকে বাগে পেয়ে টানতে টানতে তাকে নিয়ে চলে যায় চা বাগানের ভিতরে। সেখানেই কিশোরকে মেরে তার মাথা খেয়ে নেয় ভাল্লুকটি।

কিশোরকে মেরে চা বাগানের ভিতরেই লুকিয়ে পড়ে ভাল্লুকটি। পরে চা বাগানের ভিতর থেকে কিশোরের মুন্ডহীন দেহ উদ্ধার হয়। মৃতের বাড়ি মেটেলি চা বাগানের জাহাদি লাইনে। এই ঘটনার পরেই তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে চা বাগানে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন বনদফতরের কর্মীরা। ভাল্লুকের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়।

বনকর্মীরা 'মানুষখেকো' ভাল্লুকটিকে পটকা ফাটিয়ে তাড়ানোর চেষ্টা করলে স্থানীয় বাগান শ্রমিকদের ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। শেষমেশ ভাল্লুকটিকে গুলি ছুঁড়ে জখম করতে বাধ্য হন বনকর্মীরা। গুলিবিদ্ধ হয়ে নিস্তেজ হতেই চাবাগানের শ্রমিকরা ভাল্লুকটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন।

আরও পড়ুন- রাজ্যে বাড়ল দৈনিক করোনা সংক্রমণ-মৃত্যু! কমতির দিকে অ্যাক্টিভ কেস-আক্রান্তের হার

এদিকে বুধবার দুপুরের পর থেকেই আতঙ্কে মেটেলি চা বাগানের স্বাভাবিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। বাগানের শ্রমিকদের অভিযোগ, বনদফতরের গাফিলতির কারণেই ভাল্লুকের হানায় প্রাণ গেল কিশোরের। বনকর্মীরা সময়মতো এলে প্রাণে বাঁচত ওই কিশোর। ভাল্লুকটিকেও উদ্ধার করে নিয়ে যেতে পারতেন বকর্মীরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভাল্লুকের হিংস্রতা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণেই এতবড় একটি ঘটনা ঘটে গেল মেটেলি চা বাগানে।

তবে মেটেলি চা বাগানে কোথা থেকে পূর্ণবয়স্ক এই ভাল্লুক এল তা নিয়ে ধন্দে বনকর্তারা। অনুমান করা হচ্ছে ভাল্লুকটি ন্যাওড়া ভ্যালি জাতীয় উদ্যান থেকে বেড়িয়ে কোনওভাবে চাপরামারি জঙ্গল হয়ে চা বাগানে চলে এসেছিল।

ইন্ডিয়ানএক্সপ্রেসবাংলাএখনটেলিগ্রামে, পড়তেথাকুন

Jalpaiguri
Advertisment