ডেকে বাইক দাঁড় করিয়ে কাছ থেকে গুলি চালিয়ে পালিয়ে যায় দুস্কৃতীরা। গুলিবিদ্ধ তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি অসীম দাসকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। সোমবার সন্ধ্যারাতে ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলকোটে। নিহত তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতিট বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটের সিওর গ্রামে।
সোমবার সন্ধ্যা ৭ টা নাগাদ অসীম দাসের বাড়ির কাছে সিওর মোড়ে তাঁকে ডেকে দাঁড় করায়। বাইক নিয়ে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। দাঁড়ানো মাত্রই তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। ঘটনাস্থলেই অসীমবাবু লুটিয়ে পড়েন। স্থানীয়রা তাঁকে উদ্ধার করে মঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তৃণমূল নেতাকে মৃত বলে ঘোষনা করেন ।তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতির গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই মঙ্গলকোট জুড়ে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মঙ্গলকোটের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী সহ অন্য তৃণমূল নেতৃত্ব মঙ্গলকোট হাসপাতালে যান। ঘটনাস্থলে ছোটেন জেলার উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তারাও। দুস্কৃতীদের খোঁজে পুলিশ পার্শ্ববর্তী জেলার সীমান্ত এলাকাশ ব্যাপক নজরদারি বাড়িয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় অভিযুক্তদের খোঁজে জোরদার তল্লাশি চালানো শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মত এদিনও সন্ধ্যায় কাশেম নগর বাজার থেকে একাই মোটরসাইকেল চালিয়ে সিওর গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন অসীম দাস। বাড়ির কাছেই কেউ দাদা বলে ডেকে তাঁকে দাঁড় করায়। এরপরেই গুলি চালায় দুস্কৃতীরা। এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এই খুনের ঘটনায় বিজেপির যোগসাজস রয়েছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয় তৃমূলের বিধায়ক অপূর্ব চৌধুরী। দলের রাজ্য মুখপত্র দেবু টুডুর অভিযোগ, ভোটে হেরে যাওয়ার বদলা নিতে মঙ্গলকোটের বিজেপি কর্মীরা এখন সন্ত্রাস খুনের রাজত্ব কায়েম করতে চাইছে। এদিকে বিজেপির বর্ধমান পূর্ব ( গ্রামীণ) জেলা কমিটির সহ-সভাপতি অনীল দত্তের পাল্টা দাবি করেন ,“তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেই এই খুনের ঘটনা ঘটেছে । ঘটনা ধাপাচাপা দিতেই তৃণমূল বিজেপির দিকে আঙুল তুলছে।"