Chit Fund Scam: বেআইনি অর্থলগ্নি মামলায় সিবিআইয়ের হাতে ধৃত আসানসোলের তৃণমূল নেতা। বর্ধমান পুরসভার প্রশাসক প্রণব চট্টোপাধ্যায়কে বৃহস্পতিবার গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় সংস্থা। শুক্রবার তাঁকে আসানসোল কোর্টে তোলা হয়। তাঁকে তিনদিনের সিবিআই হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি আসানসোলে ধৃত তৃণমূল নেতার বাড়িতেও অভিযান চালায়। এমনকি, বর্ধমান শহরের ঢলদীঘিতে তাঁর অফিসে তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআইয়ের একটি দল।
এই অভিযান প্রসঙ্গে ধৃত নেতার পরিবার মুখ খুলতে চায়নি। ধৃতের স্ত্রী বলেছেন, ‘বাড়িতে তল্লাশির সময় আমি তদন্তকারীদের জানিয়েছি, আমাদের কিছু জানা নেই। এই বাড়ির একটা অংশ ভাড়া নিয়ে অফিস খুলেছিল সেই চিটফান্ড সংস্থা।‘
এদিকে, চিটফান্ড ছাড়াও এই রাজ্যের একাধিক মামলার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। নারদা-কাণ্ড, কয়লা পাচার-কাণ্ড, ভোট পরবর্তী হিংসার মতো মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এই সংস্থা। কয়লা পাচারকাণ্ডের গোড়ায় পৌঁছতে মরিয়া গোয়েন্দারা। পুজোর আগে মূল অভিযুক্ত অনুপ মাজির শ্বশুরবাড়িতে হানা দেন সিবিআই গোয়েন্দারা। সেখানে উদ্ধার হওয়া নথি থেকে এই মামলার অভিযুক্ত বাকি চার ব্য়বসায়ী নারায়ণ মণ্ডল, গুরুপদ মাজি, নীরদ মণ্ডল ও জয়দেব মণ্ডলের খোঁজ মেলে। আসানসোল, রানিগঞ্জ, পুরুলিয়া ও বাঁকুড়ায় এদের কয়লার কারবার। তাঁদেরও জিজ্ঞাসাবাদের করেন সিবিআই গোয়েন্দার। জেরায় অসঙ্গতি ধরা পড়ে। তারপরই লালা ঘনিষ্ঠ এই চার ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা।
পাশাপাশি গত সেপ্টেম্বরে আইকোর মামলায় রাজ্যের মন্ত্রী তথা তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়তে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই। ১৩ সেপ্টেম্বর তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে হাজিরা দিতে বলা হয়েছিল। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও ভুয়ো অর্থলগ্নি সংস্থার তদন্তে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে নোটিস দিয়েছিল সিবিআই ও ইডি। সেই সময় অবশ্য অন্য কাজে ব্যস্ততার কথা জানিয়ে হাজিরা এড়িয়েছিলেন রাজ্যের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী।
তাছাড়া রাজ্যের দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মানস ভুঁইয়ার পর এবার তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রকে তলব করেছিল সিবিআই। আইকোর মামলায় সিজিও কমপ্লেক্সে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রীকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। ইতিমধ্যে সারদা চিটফান্ড মামলায় সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন কামারহাটির তৃণমূল সাংসদ। তবে আইকোর মামলায় শুধু মদন নয়, তাঁর পুত্র স্বরুপ মিত্রকে তলব করা হয়েছিল।
অপরদিকে, কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই। রায়ে ৬ সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল সিবিআইকে। সেই মতো তদন্তের কাজে গতি আনতে গোটা অগাস্ট মাসজুড়ে উত্তর ২৪ পরগনার ভাটপাড়া, বীরভূমের কাঁকরতলা, নদিয়ার চাপড়ায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার সদস্যরা। একটা দল কলকাতা জুড়ে অভিযোগ সংগ্রহ করেছে। উত্তরবঙ্গেও গিয়েছিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দল। বিভিন্ন ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি অভিযোগকারীদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের সঙ্গে কথা বলেছিল তদন্তকারীরা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন