Advertisment

৬০ লক্ষ টাকার মাদক-সহ গ্রেফতার জলপাইগুড়ির তৃণমূল যুব নেতা

নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে NCB-র দারস্থ হচ্ছে জেলা বিজেপি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

সন্দীপ সরকার: ৬০ লক্ষ টাকার ব্রাউন সুগার সহ গ্রেফতার জলপাইগুড়ি জেলা তৃনমূল যুব নেতা ও আরও তিন মাদক পাচারকারী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে৷ গোটা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে NCB-র দারস্থ হচ্ছে জেলা বিজেপি।

Advertisment

চলতি মাসের ২১তারিখে জলপাইগুড়ি থেকে ৩০ গ্রাম ব্রাউন সুগার শিলিগুড়িতে পাচার করতে গিয়ে শিলিগুড়ি ঝংকার মোড় এলাকায় শিলিগুড়ি পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় কৌস্তব তলাপাত্র সহ জলপাইগুড়ির আরো তিন যুবক। কৌস্তব তলাপাত্র জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূলের নেতা। এই ঘটনার পরেই জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, যুব তৃণমূল কার্যালয়ের চার পাশে এই মাদক পাচারকারীদের রমরমা ব্যবসা চলছে দীর্ঘদিন থেকে। এই মাদক কান্ডে সঠিক তদন্তের দাবিতে এখন NCB-র দ্বারস্থ হচ্ছে জলপাইগুড়ি জেলা বিজেপি। এই পাচারকারীদের পেছনে আরো বড় বড় তৃণমূল নেতারা জড়িত আছে বলেও অভিযোগ জেলা বিজেপি সভাপতি বাপি গোস্বামীর।

যদিও তৃণমূলের দাবি ২০১৯ সাল থেকে কৌস্তব তলাপাত্র আর তৃনমূলের সাথে জড়িত নেই। এর পালটা হিসেবে বিজেপি আজ সাংবাদিক সম্মেলন করে অভিযোগ করে, ২০২০ সালে কোলকাতায় মুখ্যমন্ত্রীর একটি অনুষ্ঠানে মাদক পাচারে অভিযুক্ত কৌস্তব তলাপাত্রকে আমন্ত্রণ করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানের ভি আইপি প্রবেশ পত্রের কার্ড তাদের হাতে রয়েছে বলে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে৷

জলপাইগুড়ি জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি সৈকত চ্যাটার্জির অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই কৌস্তব তলাপাত্র। একই মঞ্চে বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচিতেও দেখা গেছে যুব সভাপতি সৈকত ও কৌস্তবকে। এই বিষয়ে তৃণমূল যুবর সাধারণ সম্পাদক অজয় সাহা জানিয়েছেন, কৌস্তব এক সময় তৃণমূল যুব করতো। কিন্তু বেশ কিছুদিন থেকে সে মানসিক অবসাদে ভোগার পাশাপাশি, নেশার কারবারের সাথে জড়িত থাকার কারণে এখন আর সে তৃনমূল যুবতে নেই বলে দাবি করেছেন জলপাইগুড়ি যুব তৃণমূল সাধারণ সম্পাদক অজয় সাহা৷

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Jalpaiguri Drug Case
Advertisment