Young Man killed his mother in law & Wife: স্ত্রী নাকি পরকীয়া সম্পর্কে মেতেছে! এমন সন্দেহে শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ভয়ংকর ভাবে কুপিয়ে আত্মঘাতী হল জামাই। এই ঘটনায় বুধবার চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের ছোড়া গ্রামের আদিবাসী পাড়ায়। গলায় ধারালো অস্ত্রের গভীর খত নিয়ে স্ত্রী সুকতি সোরেন এখন বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ শাশুড়ি মুঙ্গলী মুর্মু এবং জামাই সোম সোরেনের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে। জেলা পুলিশ সুপার আমন দীপ জানিয়েছেন, ’ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। ময়নাতদন্তের জন্য দুটি মৃতদেহ এদিনই বর্ধমান মেডিকেল কলেজের পুলিশ মর্গে পাঠানো হয়েছে’। স্থানীয়রা জানিয়েছে, ছোড়া আদিবাসীপাড়ায় মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। বৃদ্ধ শাশুড়ি ও স্ত্রীকে ধারালো অস্ত্রের কোপ মেরে পালিয়ে যায় জামাই সোম সোরেন। তাতে শাশুড়ি মুঙ্গলী মুর্মুর (৬৫) মৃত্যু হয়। রক্তাক্ত অবস্থায় সোমের স্ত্রী সুকতি সোরেনকে উদ্ধার করে স্থানীয়রা বননবগ্রাম ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করেন। পরে তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তার গলার নলি কেটে গিয়েছে বলে স্থানীয়দের কথায় জানা গিয়েছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে এলাকায় তোলপাড় চলার মধ্যেই বুধবার সকালের গ্রামের অদূরে মাঠের মধ্যে একটি গাছে অভিযুক্ত সোম সোরেনের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
স্ত্রী ও শাশুড়ির ওপর জামাই সোম সোরেনের এত ক্রুদ্ধ হয়ে ওঠার কারণ সম্পর্কে পরিবারের সদস্যরা যা জানিয়েছেন সেটা যথেষ্টই চমকে দেওয়ার মত। পরিবার সদস্যদের কথায় জানা গিয়েছে, অন্য কোনও পুরুষের সঙ্গে সুকতির পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে, এমন সন্দেহ করতো জামাই সোম। এ নিয়ে পাঁচমাস যাবৎ সুকতির সঙ্গে তাঁর স্বামী সোমের অশান্তি চরমে ওঠে। অশান্তি মেটাতে একাধিকবার আদিবাসীপাড়ায় সালিশিসভাও বসে। কিন্তু কিছুতেই সন্দেহ কাটে না সোমের। এমন অবস্থায় স্বামী ও স্ত্রী মধ্যে সম্পর্কের কোন উন্নতিও হয়না। সোম আলাদা থাকতে শুরু করে। শ্বশুরবাড়ির পরিবারের সঙ্গে তার সম্পর্ক থাকে না।
আরও পড়ুন : < Suvendu Adhikari: যুক্তি শুনে হতভম্ব বিচারপতি! শুভেন্দুর দায়ের করা মামলায় বিপাকে রাজ্য সরকার >
এভাবেই চলছিল। তারই মধ্যে মঙ্গলবার সুকতির বাপের বাড়িতে ছিল এক আত্মীয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান।রাতে বিয়েবাড়িতে আসা অন্য মহিলারা শুয়ে পড়েন। তখন অন্য একটি ঘরে ছিলেন সুকতি ও তাঁর বৃদ্ধা মা।পরিবারের কোন পুরুষ সেই সময় ওই বাড়িতে ছিলেন না। অভিযোগ সেই ফাঁকে চুপিসারে সোম ধারালো অস্ত্র হাতে স্ত্রী সুকতি ও শাশুড়ি মুঙ্গলী মুর্মুর উপর চড়াও হয়ে কোপাতে শুরু করে। তাঁদের আর্তনাদ শুনে বাড়িতে থাকা অপর দু-তিনজন মহিলা চিৎকার শুরু করে দেন।
বেগতিক বুঝে সোম সেখান থেকে পালিয়ে যায়। রাতে জখমদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে মুঙ্গলীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। রাত পার হয়ে সকাল হতেই গ্রামের অদূরে সোমের ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়।