বেজির মাংস খেয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগে এক আদিবাসী যুবককে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই হইচই পড়ে যায় বন দফতরেও। শেষ পর্যন্ত বন দফতরের কর্তারা পুলিশের সহায়তায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করান। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সংগৃহীত প্রমাণ ইংরেজবাজার থানার পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন বন দফতরের কর্তারা। মঙ্গলবার অভিযুক্তকে মালদা জেলা আদালতে পেশ করা হয়। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে মালদাজুড়ে।
পুলিশ ও বন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত যুবককের নাম বিপেন মাল। বাড়ি পুরাতন মালদার নারায়ণপুর ঝাঁঝরা গ্রামে। সোশ্যাল মিডিয়ায় তার পোস্ট করা ছবি দেখে অভিযুক্তকে বাড়ি থেকেই গ্রেফতার করান বন বিভাগের কর্তারা। সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারী একজন আধুনিক যুবকের বন্যপ্রাণী হত্যার মত অচেতন মানসিকতা দেখে বনকর্মীরা হতবাক।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, চার দিন আগে ওই যুবক একটি বেজি ধরেছিল। এরপর বেজিটিকে খাওয়ার জন্য বাড়ি নিয়ে এসেছিল। বন্যপ্রাণী আইনের আওতায় বেজি পোষা ও হত্যা নিষিদ্ধ। কিন্তু, ওই যুবক সেসবের তোয়াক্কা না-করে বেজিটিকে কাটার আগে সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে। বন বিভাগের কাছে জিজ্ঞাসাবাদে অভিযুক্ত নিজের দোষ স্বীকার করেছে। এমনটাই দাবি বনকর্তাদের।
আরও পড়ুন- সরকারি প্রকল্পে বাড়ি পাইয়ে দেওয়ার টোপ, আঙুলের ছাপে সাফ অ্যাকাউন্ট, ধৃত ২
বনকর্তারা জানিয়েছেন, বেজি প্রজাতির প্রাণী বর্তমানে লুপ্তপ্রায়। বিভিন্ন জায়গায় এই প্রাণী সংরক্ষণের চেষ্টা চলছে। এই জন্য প্রচারও চলছে নিয়মিত। শুধু জঙ্গলেই নয়। বনাঞ্চল কমে যাওয়ায় সাপের মতই লোকালয়েও বেজি দেখতে পাওয়া যায়। মানুষের সচেতনতার অভাবে বিভিন্ন জায়গায় এই প্রাণীর মৃত্যুর অভিযোগও ওঠে। তার মধ্যেই মালদার ঘটনাটি প্রকাশ্যে এল। ধৃতের কড়া শাস্তি চান বনদফতরের কর্তারা। যাতে বন্যপ্রাণী হত্যার কড়া বিধানকে মানুষ সমীহ করে। আর, বন্যপ্রাণীরা অহেতুক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পায়। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে অতীতেও এমন কোনও দুষ্কর্মের অভিযোগ আছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ।