শীর্ষ আদালতের পর এবার নিম্ন আদালতেও স্বস্তি গরু পাচার মামলায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আবদুল লতিফের। একদা অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বীরভূমের ইলামবাজারের এই বাসিন্দাকে আগামী ৬ মে পর্যন্ত অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন আসানসোলের বিশেষ সিবিআই দালত। শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের পর থেকেই আচমকা উধাও হয়ে যান লতিফ। খুনের দিন ঘটনাস্থলে দেখাও গিয়েছিল তাঁকে। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। যদিও এরই মধ্যে শীর্ষ আদালত থেকে রক্ষাকবচ নিয়েছিলেন তিনি।
সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের পর বৃহস্পতিবার আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজিরা দেন 'ফেরার' থাকা আবদুল লতিফ। এদিন ভোরে আইনজীবীকে সঙ্গে নিয়ে আসানসোল আদালতে কার্যত আত্মসমর্পণ করেন গরু পাচার মামলায় অন্যতম এই অভিযুক্ত। গরু পাচার মামলায় এর আগে সিবিআই চার্জশিটে নাম ছিল বীরভূমের ইলামবাজারের বাসিন্দা আবদুল লতিফের। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের সঙ্গেও তাঁর ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বলে সিবিআইয়ের দাবি।
আরও পড়ুন- ‘বীরভূমের গোমাতারা নিশ্চিন্তে বিচরণ করছে’, ভিডিও পোস্ট করে কেষ্টকে বেনজির টিপ্পনি অনুপমের
পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড়ে কয়লা মাফিয়া রাজু ঝা খুনের দিন ঘটনাস্থলেই তাঁকে দেখা গিয়েছিল। তবে তার পর থেকে আচমকা বেপাত্তা হয়ে গিয়েছিলেন লতিফ। তাঁর বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছিল। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে আইনি রক্ষাকবচ পেয়েছিলেন আবদুল লতিফ। লতিফের বিরুদ্ধে এখনই কঠিন কোনও পদক্ষেপ করা যাবে না বলে নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
সর্বোচ্চ আদালতের সেই স্বস্তি বহাল এবার নিম্ন আদালতেও। এদিন লতিফের অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। তবে এদিন বিচারক জানিয়েছেন, তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে লতিফকে, জমা রাখতে হবে পাসপোর্টও।