Calcutta High Court: ভোটের মধ্যে হাইকোর্টে বিরাট স্বস্তি পেলেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছিল পুলিশ। সেই মামলায় এফআইআর খারিজ চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। সেই মামলায় তাঁকে রক্ষাকবচ দিল আদালত। হাই কোর্ট জানিয়েছে, ভোট না মেটা পর্যন্ত অভিজিৎকে বিরক্ত করা যাবে না।
উচ্চ আদালত এদিন আরও জানিয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তও করতে পারবে না পুলিশ। তবে ঘটনার তদন্তপ্রক্রিয়া পুলিশ চালিয়ে নিয়ে যেতে পারবে। আগামী ১২ জুন অর্থাৎ লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার কয়েকদিন পর পরবর্তী শুনানি হবে হাইকোর্টে। যেহেতু মামলাকারী একজন প্রার্থী তাই তাঁর বিরুদ্ধে ১৪ জুন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ।
গত ৪ মে তমলুকে অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। অস্ত্র আইনেও মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। উল্লেখ্য, প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিতের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। সেই এফআইআর খারিজ করার আর্জি নিয়ে উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হন।
ঘটনার দিন মিছিল করে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়েছিলেন অভিজিৎ। তমলুক হাসপাতাল মোড়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের অনশনমঞ্চের কাছে মিছিল পৌঁছতেই গন্ডগোল শুরু হয়। স্লোগান-পাল্টা স্লোগান, ধাক্কাধাক্কি শুরু হয়। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। বিজেপির দাবি, শিক্ষকরা অভিজিৎ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে উদ্দেশ্য করে চোর স্লোগান দেন। তখন মিছিল থেকে কয়েকজন জুতো, লাঠিসোটা নিয়ে অনশনমঞ্চের দিকে তেড়ে যান। ছোড়া হয় ইট-পাটকেল। কয়েকজন শিক্ষক আহত হন বলে অভিযোগ। তারপরই অভিজিৎ-সহ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
আরও পড়ুন Abhijit Ganguly: FIR খারিজ মামলা শুনলেনই না বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত! এবার কী করবেন বিজেপির অভিজিৎ?
হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষের এজলাসে এদিন মামলার শুনানি হয়। বিচারপতি জানিয়েছেন, তদন্তপ্রক্রিয়াতে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। মামলার পরবর্তী শুনানির দিন পুলিশকে আদালতে কেস ডায়েরি জমা দিতে হবে। এছাড়া ১৪ জুনের মধ্যে মামলার দুপক্ষকেই হলফনামা জমা দিতে হবে। এদিন বিচারপতি দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের জামিন মামলার প্রসঙ্গ টেনে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্তকে জানান, ভোটের সময়ে কোনও প্রার্থীকে এই ধরনের অভিযোগে বিরক্ত করা যায় না।