তাঁর বিদেশযাত্রা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় এবার পাল্টা জবাব অভিষেকের। বিরোধীদের একাংশকে বিঁধতে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের মঞ্চকেই বেছে নিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, মাথা উঁচু করে লড়তে জানি।' তাঁর বিদেশযাত্রা ঘিরে সব বিতর্কের জবাব এভাবেই দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একইসঙ্গে নাম না করে এদিন অভিষেক বিজয় মালিয়া, মেহুল চোকসি, নীরব মোদীদের প্রসঙ্গ তুলে বেনজির কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন বিজেপিকে।
ধর্মতলার মঞ্চ থেকে এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, 'আমি চিকিৎসার জন্য বাইরে গিয়েছিলাম। এমন একটা বলা হলো যেন আমি নাকি আর ফিরব না। আমার পদবি মোদী নয়, চোকসি নয়, মালিয়া নয়। আমার পদবি বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মাথা উঁচু করে লড়তে জানি। আমার বিরুদ্ধে এতটুকু প্রমাণ থাকলে ইডি-সিবিআই নয়, ফাঁসির মঞ্চ ঠিক করো। অভিষেক বন্দ্যেপাধ্যায় গিয়ে মৃত্যু বরণ করবে।'
এছাড়াও তাঁর সংস্থায় ইডির অভিযান প্রসঙ্গেও এদিন মুখ খুলেছেন তৃণমূল সাংসদ। আবারও কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করার অভিযোগ এনেছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতা। তিনি বলেন, 'আমি যেদিন এসেছি তার পরের দিন ইডিকে রেড করতে পাঠিয়েছে। আমার অফিসে গিয়ে রেড করেছে। তার সঙ্গে ১৬টা ফাইল ডাউনলোড করে দিয়ে গেছে।'
আরও পড়ুন- দত্তপুকুরের ইটভাটায় আস্ত ‘গবেষণাগার’! শুধুই সাধারণ বাজি তৈরি? নাকি পেছনে সাংঘাতিক উদ্দেশ্য?
এরই পাশাপাশি পঞ্চায়েত ভোটে বিরোধীদের তোলা অভিযোগেরও এদিন জবাব দিয়েছেন অভিষেক। এবারের পঞ্চয়েত ভোটে মনোনয়ন পর্ব ঘিরে তুমুল অশান্তি হয়েছে দিকে-দিকে। বিরোধীদের অভিযোগ, বহু জায়গায় তাঁদের প্রার্থীদের মনোনয়ন জমায় বাধা দিয়েছে শাসকদল। বিরোধীদের সেই অভিযোগ উড়িয়েছেন সর্বভারতীয় তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক।
এপ্রসঙ্গে অভিষেক এদিন বলেন, 'নজিরবিহীন মনোনয়ন জমা পড়েছে পঞ্চায়েতে। দেড় লক্ষ মনোনয়ন জমা দিয়েছে বিরোধীরা। শাসকদলের থেকে প্রায় দেড়গুণ বেশি মনোনয়ন জমা বিরোধীদের। তারপরেও গোটা বাংলা আজ তৃণমূলময়। সকলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে মানুষের পঞ্চায়েত গড়েছি। একাধিক বিজেপি বিধায়ক, সাংসদ নিজের বুথে হেরেছেন। বিজেপি রাজ্য সভাপতিও নিজের বুথে হেরেছেন।'