'অধীর চৌধুরীকে বলছি বোতাম টিপলেই কংগ্রেসের চার এমপি চলে আসবেন। তবে আমরা সেটা করছি না।' সাগরদিঘি মডেলের কোমর ভেঙে কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সোমবারই রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে তৃণমূল। সাগরদিঘির বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী বায়রন বিশ্বাসকে দলে টানতে সফল হয়েছে তৃণমূল। তবে অভিষেক জানিয়েছেন, এদিন বায়রন নিজের ইচ্ছাতেই মেদিনীপুরে তাঁর নবজোয়ার কর্মসূচিতে এসে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।
তিন মাসেই মুখ থুবড়ে পড়ল সাগরদিঘি মডেল। রাজ্যের বাম-কংগ্রেস জোটকে জোর ধাক্কা দিয়ে তৃণমূলে নাম লেখালেন বায়রন বিশ্বাস। তবে জোরাজুরি নয়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ বায়রন নাকি আগেই করেছিলেন। গতকাল রাতেও তাঁর সঙ্গে বায়রনের ফোনে কথা হয়েছিল বলে জানান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শেষমেশ সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে তৃণমূলে নবজেয়ার কর্মসূচিতে গিয়ে জোড়াফুলে যোগ দেন বায়রন বিশ্বাস।
এদিন বায়রনকে পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈটকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ''অধীর চৌধুরীকে বলছি বোতাম টিপলেই কংগ্রেসের চার এমপি চলে আসবেন। তবে আমরা সেটা করছি না। সময় হলেই দেখতে পাবেন কে কখন আসবেন। বায়রন নিজে মেদিনীপুরে এসে তৃণমূলে যোগ দিলেন। বিজেপির বিরুদ্ধে সর্বাত্মক লড়াই করতেই বায়রন তৃণমূলে। আমরা ভাঙার খেলায় বিশ্বাসী নই, গড়ার খেলায় বিশ্বাসী।''
আরও পড়ুন- ফের বিধানসভায় শূন্য হাত, তৃণমূলে যোগ দিলেন বিধায়ক বায়রন বিশ্বাস
অভিষেক এদিন আরও বলেন, ''রামধুন ভোটের নির্যাস শূন্য। আমরা এখনও দরজা খুলিনি, ফাঁক করেছি। পুরোপুরি খুললে বিজেপি দলটাই উঠে যাবে। বায়রনের পরিবার বরাবরই তৃণমূলের ঘনিষ্ঠ। পরিবারটাই পুরো তৃণমূলের পরিবার। ভোটের আগে কয়েকজনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন বায়রন। উনি মনস্থ করেছিলেন আমি তৃণমূলে যাব। ও একাধিকবার আমার সঙ্গে এসে যোগাযোগ করেছেন। গতকাল রাতেও ওঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। আমি বললাম চলে এসো।''
দলবদলের পর কী বললেন বায়রন নিজে?
তাঁর কথায়, ''আমি যে জয়ী হয়েছি এর পিছনে কংগ্রেসের অবদান ছিল না। তৃণমূলের থেকে টিকিট পাওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। পাইনি, তাই কংগ্রেসের টিকিট নিয়েছিলাম। যদি কংগ্রেসের অবদান থাকত তাহলে একুশের ভোটে কেন একটি সিটেও জয়ী হতে পারেনি কংগ্রেস? আমার দৃঢ় বিশ্বাস, আমি তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর আরও বিপুল ভোটে জয়ী হব। কংগ্রেসে থেকে কাজ করতে পারছিলাম না। বিজেপিকে রুখতে হলে এখানে একমাত্র দল তৃণমূল। তৃণমূল ছাড়া কোনও প্ল্যাটফর্ম পেলাম না। বরাবরই তৃণমূল করতাম।''