সাড়ে চার ঘন্টা পর সিজিও কমপ্লেক্সের ইডি দফতর থেকে বেরিয়ে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রী রুজিরা নারুলা। কয়লা পাচার মামলায় অভিষেক-জায়াকে বৃহস্পতিবার জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরটের গোয়েন্দারা। জানা গিয়েছে, ৩ পাতার প্রশ্নমালা তৈরি করাই ছিল। দিল্লি থেকে আসা ইডি অফিসাররা রুজিরাকে প্রস্ন করেছেন। তাঁর বয়ান রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে রুজিরাকে দিল্লির সদর দফতরে ডেকে পাঠিয়েছিল ইডি। তবে সেক্ষেত্রে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। আদালতের নির্দেশেই রুজিরাকে কলকাতার দফতরে জিজ্ঞাসাবাদ করতে বলা হয়েছিল ইডিকে।
বিকেলে সাংবাদিক বৈঠকে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, 'আমার পারিবারিক বিষয় নিয়ে কোনও কথা বলব না। ও (রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়) ভালো মেয়ে, নিরাপরাধ মেয়ে, সৎ মেয়ে, প্রাপ্ত বয়স্কা। শুধু বলব ইডি বাঘ নাকি? ইডি দেশের জনগণের সেবার জন্য, বিজেপির সেবা করার জন্য নয়।
আরও পড়ুন- এক মাসের মধ্যে এক দফাতে পঞ্চায়েত ভোট? রাজ্য-রাজ্য নির্বাচন কমিশন বৈঠককে জল্পনা
কয়লা পাচার মামলায় এদিন তাঁকে তলব করেছিল ইডি। সেই মত নির্ধারিত সময়ের প্রায় দেড় ঘন্টা পর দুপুর ১২.০১ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন রুজিরা। গত সোমবার রুজিরাকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয়। কলকাতা বিমানবন্দরে যেতেই তাঁকে আটকেছিলেন অভিবাসন দফতরের কর্মীরা। তাঁর বিরুদ্ধে আগেই ইডির লুকআউট সার্কুলার নোটিস জারি ছিল। সেই কারণেই রুজিরাকে বিদেশ যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে জানায় ইমিগ্রেশন বিভাগ।
আরও পড়ুন- আর্থিক সহায়তার দু’হাজারের উৎস নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির, ‘শুভেন্দুই ভাল মাস্টার’ টিপ্পনি তৃণমূলের
ইডি সূত্রের খবর, কেন তিনি বিদেশ যাচ্ছিলেন? এবার সম্ভবত সেই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হচ্ছে অভিষেক-পত্নীকে। এছাড়াও তদন্ত সম্পর্কিত একাধিক প্রশ্নবাণ সামলাতে হচ্ছে তৃণমূল সাংসদের স্ত্রীকে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রুজিরার বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে আগে থেকে ইডিকে জানাতে বলেছিল আদালত।
সেই মতো যাত্রার বেশ কিছুদিন আগেই ইডিকে জানিয়েছিলেন রুজিরা। তবে সেই সময় তাঁকে কিছু না জানালেও দিনের দিন যাওয়ার পথে তাঁকে আটকানোর তুমুল সমালোচনায় সরব হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপির দেখানো পথে চলে বিরোধী দলকে হেনস্থা করতেই ইডির এই সক্রিয়তা বলে অভিযোগে সোচ্চার হয় তৃণমূল।