Abhishek absent at Mamata’s protest march: শুধু রাজনৈতিক এবং প্রশাসনিক ফ্রন্টেই নয়। বর্তমানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্বের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। হোম ফ্রন্টে, তাঁর দ্বারা প্রতিষ্ঠিত তৃণমূল কংগ্রেস কখনও এত তিক্তভাবে বিভক্ত হয়নি। মমতার ভাগ্নে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টিএমসি-এর অভ্যন্তরে নম্বর ২ হিসেবে পরিচিত। বর্তমানে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কলকাতার হাসপাতালের চিকিৎসকের ধর্ষণ এবং খুনের জেরে তোপের নিশানায়। মঙ্গলবার যাতে বিশেষ মাত্রা যোগ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সেই সময় তাঁর ভাগ্নেকে দূরত্ব বজায় রাখতে দেখা যাচ্ছে। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ, আরজি কর হাসপাতালের মামলার প্রথম প্রতিক্রিয়ায় অভিযুক্তদের 'এনকাউন্টার' চেয়েছিলেন। তিনি এই মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে 'বিক্ষোভ' মিছিলে অনুপস্থিত ছিলেন। তার আগে অভিষেক নিজের ভাষণের জন্য সমালোচিত হন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রেও তাঁর ভাষণের মুখে জনগণ আওয়াজ তোলে, শুধু মুখের কথা নয়। তাঁরা এখন কাজ দেখতে চান। অভিষেকের নির্বাচনী এলাকা ডায়মন্ড হারবারের টিএমসি নেতারা তাঁদের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে লিখেছেন, 'সময়ের ডাকে সেনাপতি পথ দেখাক।'
অভিষেক কেন অসন্তুষ্ট
অভিষেকের ঘনিষ্ঠ সূত্রে দাবি করা হয়েছে, তিনি স্পষ্টভাবে নিজের অসন্তোষের কথা জানিয়েছেন। অপসারিত আরজি কর হাসপাতালের অধ্যক্ষের দ্রুত অন্য হাসপাতালে পোস্টিং, ধরনায় থাকা চিকিত্সকদের উপর হামলাকারী জনতাকে থামাতে পুলিশের ব্যর্থতা। এসব নিয়েই তিনি প্রশাসনের ওপর ক্ষুব্ধ। এতেই সরকারের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব বেড়েছে। অন্য টিএমসি নেতারা, যাঁরা তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, তাঁরা দলের কড়া পদক্ষেপের মুখোমুখি হয়েছেন। রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ শান্তনু সেনকে মুখপাত্র পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমান রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় 'ভুল তথ্য' ছড়ানোর জন্য কলকাতা পুলিশের কাছ থেকে নোটিশ পেয়েছেন। যার বিরুদ্ধে সুখেন্দুশেখর কলকাতা হাইকোর্টে পর্যন্ত গিয়েছেন। যাঁরা সরকারের সমালোচনা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি প্রশাসন বারবার আন্দোলনকারী চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছে।
আরও পড়ুন- টাকা আত্মসাত-সহ একগুচ্ছ অভিযোগ, নিশানায় তৃণমূল নেতারা, BDO অফিসে তালা গোষ্ঠীর মহিলাদের
অভিষেক শিবিরের প্রতিক্রিয়া
অভিষেকের ঘনিষ্ঠ এক প্রবীণ টিএমসি নেতা বলেছেন, 'তিনি মনে করেন যে হাসপাতাল প্রশাসনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। এটা স্পষ্ট যে তাঁরা তাঁদের দায়িত্ব পালন করেননি। কিন্তু, সেটা না করায় অভিষেক সরকার এবং প্রশাসন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন।' এক প্রবীণ নেতা আবার অভিষেকের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি শুধু বলেছেন, 'আমরা এই ধরনের বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে পারি না। এটা কেবলমাত্র আমাদের পার্টি সুপ্রিমোই বলতে পারেন।' সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, 'মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দল একত্রিত হয়েছে। তবে প্রচুর গুজব ছড়ানো হচ্ছে।' পাশাপাশি, সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে কুণাল ঘোষ লিখেছেন, 'আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুজব বন্ধ করার লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তবে, আমরা আমাদের সাধারণ সম্পাদক অভিষেককেও পাশে চাই।'