Abhishek Banerjee On Anubrata Mondal Arrest Ahead Of Lok Sabha Election 2024: দলনেত্রী বারংবার পাশে দাঁড়িয়েছেন তাঁর অন্যতম প্রিয় কেষ্টর। গরু পাচার মামলায় ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন অনুব্রত মণ্ডল। অতিক্রান্ত দেড় বছরের বেশি। তা সত্ত্বেও বীরভূমের তৃণমূলের সভাপতির আসনে জ্বলজ্বল করছে তিহাড় জেলের বাসিন্দা অনুব্রতর নাম। এবার নেত্রীর পথের পথিক তৃণমূল 'সেনাপতি' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বুধবার তাড়াপীঠে দাঁড়িয়ে কেষ্টর গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জানতে চাইলেন, যে দুই বিজেপি শাসিত রাজ্য থেকে গরু পাচার হচ্ছে, কেন সেই দুই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠালো না কেন্দ্রীয় সংস্থা?
এ দিন দুপুরে হেলিকপ্টারে তারাপীঠে পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারাপীঠের আটলা মোড়ে একটি বেসরকারি হোটেলে ওঠেন তিনি। সেখানেই কর্মীদের নিয়ে বৈঠক করেন। প্রথমেই জেলার পুরসভার কাউন্সিলরদের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি ছোড়েন তিনি। সাফ বলেন, 'পুরসভা নির্বাচনে সব ওয়ার্ডে বিপুল ভোটে জিতলেও লোকসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কেন পিছিয়ে পড়ে? তাহলেই নিশ্চয় আপনারা বিধানসভা, লোকসভা নির্বাচনে খাটেন না। এবার এরকম হলে আমি রেয়াত করব না। যে সমস্ত এলাকায় হারব সেই কাউন্সিলর, চেয়ারম্যান, শহর সভাপতি সকলকে প্রথমে তিরস্কার করা হবে। এরপর বহিষ্কার করা হবে। একই পদক্ষেপ নেওয়া হবে অঞ্চল এবং ব্লকের ক্ষেত্রেও।' জেলায় দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের প্রভাব ভোট পড়বে না বলেই মনে করেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড।'
পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অভিষেক অনুব্রতর গ্রেফতারি প্রসঙ্গ টানেন। বলেন, 'যে ভাবে অজিত পওয়ার, শুভেন্দু অধিকারী, হিমন্ত বিশ্বশর্মা, নারায়ণ রানে বিজেপিতে গিয়েছেন, অনুব্রতও বিজেপিতে গেলে ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যেতেন।'
অভিষেকের সংযোজন, '‘অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে গরু পাচার মামলায়। কিন্তু ১০ দিন আগেই উত্তরপ্রদেশ, বিহার থেকে গরু নিয়ে আসা হচ্ছিল মেমারিতে। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ ধরেছে। তৃণমূলের কোনও প্রতিনিধি বিহারে বা উত্তরপ্রদেশে নেই। কিন্তু সেই রাজ্যগুলিতেও গরু পাচার হয়ে বাংলায় ঢুকছে। দেড় বছর অনুব্রত জেলে। তার পরেও উত্তরপ্রদেশ বিহার থেকে গরু পাচার হয়ে আসছে। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারকে কতবার সমন পাঠানো হয়েছে?'
এখানেই না থেকে কার্যত আদালতের ভূমিকা নিয়েও প্রস্ন তুলে দেন তৃণমূল 'সেনাপতি'! তিনি বলেন, 'যদি বিজেপির এক জন নেতাকেও সমন করা হয় হাইকোর্ট সেটা স্টে করে দেবে।'
অর্থাৎ শাসক দলের দুই শীর্ষ নেতৃত্বের চোখেই যে কেষ্টর গুরুত্ব রয়েছে লোকসভা ভোটের আবহে তা ফের স্পষ্ট হল।