রাজভবন চত্বরে ধর্না চলছে, তার মাঝাই ১০০ দিনের কাজের বাংলার বকেয়া উদ্ধারে নয়া কর্মসূচির ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কোনও দিল্লির মন্ত্রী নয়, এবার বিজেপির রাজ্য় সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করে বকেয়া চাওয়ার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'। তাঁর আবেদন, ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজ করেও বঞ্চিত ২০ লাখ মানুষ সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করবেন কেন্দ্রের থেকে অর্থের দাবিতে। ধরনা মঞ্চ থেকেই সুকান্তর মোবাইল নম্বর বিলি করেন বিজেপি থেকে তৃণমূল ফেরৎ নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়।
বকেয়ার দাবিতে রাজভবনের সামনে শনিবার ধর্নার তৃতীয়দিন। দুপুরে ধর্নামঞ্চে নিজের বক্তৃতার মাঝে একটি অডিয়ো শোনান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। একটি কণ্ঠস্বর শোনা যায়। অভিষেকের দাবি, ওই অডিয়োতে যে কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছিল তা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের। ওই অডিওতে শোনা যাচ্ছে, 'ওঁকে কিছু করতে হবে না। ২০০০ কোটি টাকা পড়ে রয়েছে। সুকান্ত মজুমদার একটা ফোন করে দেবে টাকা চলে আসবে।' অডিও শেষে অভিষেক বলেছেন, '২০০০ কোটি টাকা পড়ে আছে। সুকান্ত মজুমদার একটা ফোন করবে, টাকা চলে আসবে।'
আরও পড়ুন- ‘কলকাতার যেখানে খুশি বসুক…’, তৃণমূলের ‘হোম গ্রাউন্ডে’ এসে অভিষেকদের চ্যালেঞ্জ মোদীর মন্ত্রীর
এরপরই ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের দাওয়াই, '২০ লাখ মানুষের টাকা আটকে রয়েছে। সকলেই সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করুন। তবে কোনও অপশব্দ বা কুকথা বলবেন না। বাংলার কৃষ্টি, সংস্কৃতি বজায় রেখে ভদ্রভাবে বলবেন, আপনার এত ক্ষমতা জানতাম না। দীর্ঘদিন ধরে বেতন পাইনি। আমাদের টাকা দিন।' মঞ্চেই রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় সুকান্তর দু'টি নম্বর শেয়ার করেন। তবে সেগুলি এখন চালু রয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন তিনি।
বিজেপির রাজ্য মুখপত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, 'দিদিকে বলো তে ফোন করা হলেও কাজ হয় না। তাই সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করা হলেও সুরাহা হবে না। উনি এটা জানেন যে ফোনে সমস্যা সমাধান হয় না। অনিয়ম স্পষ্ট। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কলকাতায় এসে তথ্য নিয়ে আলোচনার কথা বললেও ওনারা বসছেন না। কারণ জানেন তাহলেই সব ধরা পড়ে যাবে।'
কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী নিরঞ্জন জ্যোতির উদ্দেশে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, যদি তিনি রাজভবনে বসতে চান সেক্ষেত্রে তাঁরা রাজি। তাঁর কথায়, '৯৬ ঘণ্টার মধ্যে এসে বাংলায় মাথা নত করতে হল। বাংলা কারও কাছে মাথা নত করে না। আজ নিরঞ্জন জ্যোতি এসেছেন, কাল গিরিরাজ সিং আসবেন, এরপর মানুষের টাকাও আসবে।'