New Update
দলের ছাত্র-যুবদের সভায় চাঁচাছোলা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বাংলাকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার বিরুদ্ধে আগাগোড়া তোপ দাগছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। ভরা সভায় অভিষেকের হুঁশিয়ারি, 'এটা তো ট্রেলার, আগামিতে দিল্লির বুকে আন্দোলন আছড়ে পড়বে। বৃহত্তর লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকুন।'
Advertisment
কী বলছেন অভিষেক?
- 'এটা তো ট্রেলার, দরকার হলে আন্দোলন ক্রমশ বৃহত্তর হবে। দিল্লির বুক থেকে সমস্ত অধিকার ছিনিয়ে আনব। ভবিষ্যতে দিল্লিতেও সভা হবে। যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস দুর্বল হয়েছে বলে ভাবছিল, এই সভা তাঁদের জবাব'
- 'দিল্লির দানবদের কাছে নয়, বারবার দরকারে বাংলার জনতা-জনার্দনের কাছে মাথা নত করব।'
- 'কেউ শেষ কথা বলে না, বলেন গণদেবতা।'
- '১০০ দিনের কাজ, আবাস যোজনার টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। বাড়ি, রাস্তার প্রকল্প বাংলার নামে নয়, কেন মোদীর নামে?'
- '২০২১-২২, ২০২২-২৩ টারা দুটি অর্থবর্ষে ১০৬টি প্রকল্পের টাকা দেয়নি কেন্দ্র। বাংলা থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে অথচ বাংলাকেই দিচ্ছে না কেন্দ্র। কারণ ২০২১ সালে বাংলায় ল্যাজে গোবরে হয়েছে বিজেপি।'
- রাহুল মামলাই অস্ত্র অভিষেকের! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে তৃণমূল
- 'কর্মীদের গায়ে আচড় পড়লে ছেড়ে কথা বলব না'
- 'হুল গান্ধীর কথাকে আমি সমর্থন করি না। কিন্তু যে কায়দায় তাঁর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ হয়েছে তা গায়ের জোর ছাড়া আর কিছুই না। মোদী পদবি নিয়ে বলে যদি রাহুল গান্ধী ওবিসি সম্প্রদায়ের ভাবাবেগে আঘাত করে থাকেন, তার জন্য যদি তাঁর দু’বছরের কারাদণ্ড ও সাংসদ পদ খারিজ হয়, তাহলে যে শুভেন্দু অধিকারী বীরবাহা হাঁসদাকে বলেছিলেন আমার জুতার তলে থাকে, তাঁর কেন বিধায়ক পদ খারিজ হবে না? একমাসের মধ্যে সুরাত আদালতের রায়কে হাতিয়ার করে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে পিটিশন দাখিল করতে হবে।'
- '২০২১ সালে বাংলায় প্রচারে এসে দিদি ও দিদি বলে ব্যঙ্গাত্নক রব তুলে মহিলাদের অপমান করেন যখন, তাহলে সেবেলা মোদীর ২ বছরের জেল হবে না কেন? প্রধানমন্ত্রীর পদ খারিজ হবে না কেন?'
- 'আমরা চাই যেখানে দুর্নীতি রয়েছে, শাস্তি হোক। যেখানে অভিযোগ রয়েছে, তদন্ত হোক। কিন্তু পিক অ্যান্ড চুজ় হবে না। যদি এসএসসিকাণ্ডে প্রসন্ন রায় থেকে দিলীপ ঘোষের বাড়ি থেকে দলিল উদ্ধার হয়, কেন দিলীপ ঘোষের কাস্টোডিয়াল ইন্টারোগেশন হবে না? বিজেপি করলে আইন আলাদা?'
- 'এক বিচারপতি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকারে বলছেন, আমি রুল জারি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠাতাম। আর সেই বিচারব্যবস্থায় সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের যখন আইনমন্ত্রী কিরেন রিজেজু বলছেন, অ্যান্টি-ইন্ডিয়া গ্যাংয়ের সদস্য, তখন বিচারপতিদের মুখে কুলুপ! বিজেপি যখন কিছু বলে তাদের জন্য আইন এক, তৃণমূলের জন্য আইন আর এক?'