পিসি মমতা জননেত্রী, আর সেই পথেই ক্রমশ জননেতা হয়ে উঠছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তিনি। সংগঠনের রাশ এখন অনেকটাই অভিষেকের হাতে। বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভিড় উপচে পড়ে। মঙ্গলবার তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ডে'র জন্মদিন। ৩৭-য়ে পা দিলেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। এহেন নেতার জন্মদিনে উপচে পড়ছে শুভেচ্ছার বন্যা। সমাজ মাধ্যমে চরম হইচই। বেলা গড়াতেই অভিষেকের হরিশ মুখার্জী রোডের বাড়ির সামনে ভিড় জমাতে থাকেন দলের অতি উৎসাহী কর্মী, সমর্থকরা। হাতে প্রিয় নেতাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা লেখা প্ল্যাকার্ড। একই ছবি কালীঘাট অঞ্চলজুড়ে। কালীঘাটের চারধারে বাড়ে পুলিশি পাহারা। দুপুর গড়িয়ে বিকেল, জনতার এই উন্মাদনা দেখে আর বাড়িতে বসে থাকেননি 'যুবরাজ'। নেমে আসের রাজপথে। সঙ্গী তাঁর পুত্র ও কন্যা।
Advertisment
পুত্র ও কন্যার সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দেখে তখন উদ্বেল জনতা। যেন দীর্ঘ অপেক্ষার পর দক্ষিণা বাতাস বয়ে এলো। দূরে নয়, জননেতার মতই অভিষেককে দেখা গেল দলের কর্মী, সমর্থকদের কাছে পৌঁছে যেতে। নেতা ও কর্মীদের মধ্যে তখন দূরত্ব মাত্র একটি ব্যারিকেডের।
নেতার হাত মাথায় স্পর্শ এক কর্মীর।
শুভেচ্ছা গ্রহণ করে অভিষেক হাত নাড়ছেন জনতার উদ্দেশে, 'হ্যাপি বার্ড ডে দাদা' ধ্বনিতে তখন মুখোরিত কালীঘাট চত্বর।
অভিষেকের সঙ্গে করমর্দমের হিড়িক।
সুনামি উচ্ছ্বাস, যা দেখে অভিষেকও করমর্দনের জন্য এগিয়ে দিলেন হাত। সেই হাত স্পর্শ করতে হাজার হাজার মানুষের সেকি তাড়াহুড়ো।
অভিষেকের জনসংযোগ।
এত কাছে অভিষেককে সেলফি তোলার হিড়িক, কেই আবার এক ফাঁকে নেতার হাতে তুলে দিচ্ছেন তাঁরই পোট্রেট।
নেতার সঙ্গে সেলফি তোলার ব্যস্ততা, পোট্রেট উপহার।
এখানেই শেষ নয়, ভিড়ের একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে অভিষেক যেতেই তাঁর হাতে ধরানো হল বার্থ-ডে কেক। যা দেখে একমুখ হাসি বার্থ-ডে বয়ের। সেই কেক কাটলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মুখেও দিলেন এক টুকরো।