বাংলার বকেয়ার দাবিতে রাজভবনের সামনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের ধর্না কর্মসূচি চলছে। ধর্নার দ্বিতীয় দিনেও কলকাতায় নেই রাজ্যপাল। এই অবস্থায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কড়া চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলার তেষ্টায় তৃণমূল। শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়সাফ জানিয়ে দিলেন, রাজ্যপাল কলকাতায় ফিরতে দু'মাস সময় নিন বা তিন মাস, রাজ্যপালের সঙ্গে তিনি কলকাতার রাজভবনেই দেখা করবেন। ততদিন রাজভবনের সামনের ধর্না থেকে তিনি উঠছেন না। প্রয়োজনে পুজোর মধ্যেও চলবে ধর্না কর্মসূচি।
Advertisment
রাজভবন সূত্রে খবর, শুক্রবার রাজ্যপালের তরফে তৃণমূলকে বার্তা পাঠানো হয়েছে। বলা হয়েছে শনিবার শিলিগুড়িতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে তিনি দেখা করতে পারেন। রাজ্যপাল এখন দিল্লিতে রয়েছেন। শনিবার সেখান থেকে তিনি শিলিগুড়িতে যাবেন। সেখানেই সাক্ষাৎ করবেন রাজ্যের শাসক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। কারণ উত্তরবঙ্গের অবস্থা আগের অবস্থায় না ফিরলে তিনি সেখানেই থাকবেন।
আনন্দ বোসের বার্তার পরই শুক্রবার সন্ধ্যায় অভিষেক ধর্নামঞ্চে দাঁড়িয়ে বলেন, 'রাজ্যপাল যেহেতু কাল দেখা করতে চেয়েছেন, তাই তৃণমূলের দুই সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র এবং পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার কাল উত্তরবঙ্গে যাবেন। আমরা ওই পদের সম্মান করি, তাই সৌজন্য বজায় রাখব। কিন্তু আমি তাঁর সঙ্গে কলকাতাতেই দেখা করব। বঞ্চিত মানুষের যে ৫০ লক্ষ চিঠি নিয়ে বসে রয়েছি। ওনাকে পড়িয়েই ছাড়ব। উনি যতদিন না এখানে দেখা করছেন, ততদিন এখান থেকে উঠব না। প্রয়োজনে পুজোর দিনগুলোতেও এখানে বসে থাকব।'
অভিষেকের কটাক্ষ, 'উত্তরবঙ্গের বন্যা নিয়ে রাজ্যপাল এতই ব্যস্ত যে বৃহস্পতিবার দু'ঘণ্টা থেকেই দিল্লিতে চলে গেছেন তিনি। কেন পরিস্থিতি না শুধরোনোর আগে তিনি দিল্লি গেলেন? উনি তো দিল্লির রাজ্যপাল নন। দিল্লিতে ওনার কোনও কর্মসূচির খবর তো পেলাম না। হয়তো বাড়িতেই চুপ করে বসেছিলেন।'
দিল্লি হোক বা কলকাতা, কেন্দ্রীয় বকেয়া না পেলে তৃণমূলের আন্দোলন লোকসভার আগে আরও জোড়দার হবে। ধর্নামঞ্চ থেকে সেই বার্তাই বারবার তুলে ধরার চেষ্টা করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।