অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা দিল্লিতে কৃষিভবনে গিয়েও দেখা পাননি কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতির। মন্ত্রী কৃষিভবনে থাকলেও অভিষেকরা দেখা করতে পারেননি। কৃষি ভবনেই ধর্নায় বসে পড়েন তৃণমূল প্রতিনিধিরা। এরপরই দিল্লি পুলিশ অভিষেকদের টেনে হিঁচড়ে সরকারি দফতর থেকে বার করে দেয়। যা নিয়ে দু’পক্ষেরই টানাপোড়েন চলছে। উত্তপ্ত বঙ্গ রাজনীতি। দিল্লির পাল্টা বিজেপির উপর চাপ বাড়াতে গত তিন ধরে রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। এসবের মধ্যেই শনিবার কলকাতায় এসেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। কলকাতায় কী অভিষেকদের সঙ্গেদেখা করবেন মোদীর প্রতিমন্ত্রী? যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর আহ্বান করেছেন বাংলার বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর আর্জি, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চাইলে অভিষেককে বিজেপি অফিসে আসতে হবে।'
যার জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, 'কেন্দ্রীয় মন্ত্রীই বরং অভিষেকের ধর্নায় আসুন। এসে বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে যান। ওই মন্ত্রী অভিষেকের ধর্নামঞ্চে এসে হাতজোড় করে বলুন, সে দিন তিনি মিথ্যে কথা বলেছিলেন। সময় দিয়েও তৃণমূলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেননি। তার পর জোর করে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে তিনি অন্যায় করেছিলেন এবং তাঁর দলও অন্যায় করেছিল। সেই সঙ্গে এ-ও বলে যান, ১০০ দিনের কাজ ও আবাস যোজনায় বাংলার সমস্ত বকেয়া টাকা কেন্দ্রীয় সরকার দিয়ে দেবে।'
দুপুরে সল্টলেকের বিজেপি দফতরে বসে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি বলেছেন, 'তৃণমূল মিথ্যা বলছে, গত বুধবার রাত ৮.২০ পর্যন্ত ' আমার কাছে কেউ আসেনি, আমি দফতরেই বসেছিলাম। তৃণণূল দেখা করার নামে বারবার টালবাহানা করেছে। ওরা বলছে মোদী সরকার বাংলার সঙ্গে সৎ মায়ের মত ব্যবহার করছে। আমি বলছি মোদী সরকার বাংলার সঙ্গে কোনও বিমাতৃসূলভ আচরণ করেনি। পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ থাকলে মোদীজির আমলে বাংলার বরাদ্দ ৬ গুণ বাড়ানো হত না।'