Abhishek Banerjee On Dhupaguri Sub-Division: সংগঠনে তাঁর নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। তবে, দলনেত্রী মমতার বার্তার পর সেসব বিতর্ক হিমঘরে। ডায়মন্ড হারবারে তৃণমূলের কর্মসূচিতে ছিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। গত সপ্তাহে কালীঘাটে নেত্রীর বাড়িতে মেদিনীপুরের সাংগঠনিক বৈঠকেও ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর শুক্রবার তৃণমূল নিয়ে সোশাল মিড়িয়ায় বড় দাবি করেছেন অভিষেক।
সোশাল মিডিয়ায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, 'কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল।'
গত সেপ্টেম্বরে উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে ধুপগুড়িকে তিন মাসের মধ্যে পৃথক মহকুমা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মুখ্যমন্ত্রী তাতে সম্মতি দেন। তারপর কেটে গিয়েছে কয়েক মাস। প্রশ্ন উঠেছিল কেন এখনও ধুপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করা হচ্ছে না। শেষপর্যন্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দেন, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার বিষয়ে যে আইনি জট ছিল তা কেটে গিয়েছে। শুক্রবার প্রকাশ করা হয় ধূপগুড়ি মহকুমা সংক্রান্ত বিবৃতি। এরপরই সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
আরও পড়ুন- ISF: বিরাট ধাক্কা নওশাদদের, মমতার আইনি চ্যালেঞ্জে কুপোকাত আইএসএফ
তৃণমূল 'সেনাপতি' লিখেছেন, 'কথা দিয়ে কথা রাখার নামই হল তৃণমূল। গত ২ সেপ্টেম্বর আমি কথা দিয়েছিলাম, ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমায় উন্নীত করা হবে। আমাদের মা-মাটি-মানুষের সরকার তা পূরণ করেছে। মাইল মাইল দূর থেকেও আমি আজ সেখানকার মানুষের উদ্বেল হওয়া মুখগুলি দেখতে পাচ্ছি।'
উত্তরবঙ্গে তুলনায় দুর্বল জোড়-ফুল। একুশের ভোটে ধুপগুড়ি দখল করেছিল বিজেপি। কিন্তু গেরুয়া বিধায়কের অকাল প্রয়াণে গত সেপ্টেম্বরে ধুপগুড়িতে উপনির্বাচন হয়। সেই ভোটের প্চারে গিয়েই পগুড়িকে তিন মাসের মধ্যে পৃথক মহকুমা গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতাও তাতে সিলমোহর দিয়েছিলেন। ওই উপনির্বাচনে জয় হাসিল করে তৃণমূল। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, অভিষেকের প্রতিশ্রুতিতেই ভোটের মোড় ঘুরিয়েছিল।