১০ অক্টোবরের মধ্যে ইডির কাছে সব নথি জমা করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সূত্রের খবর এ দিন সন্ধ্যায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পক্ষ থেকে দু'জন ইডির দফতরে গিয়েছেন। তাঁরা অভিষেকের নথি নিয়েই গিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।মঙ্গলবার বিকেলেই অভিষেকের নথি জমা সংক্রান্ত বিষয়টি আদালতকে জানিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। জানা গিয়েছে, এই প্রসঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানিয়েছিলেন, আদালতের নির্দেশ পালন না করলে অভিষেকের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় উঠেছে 'লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস'-এর নামক এই সংস্থার সিইও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। 'কালীঘাটের কাকু'কে জেরায় যা জানতে পারে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা। সেই সূত্রেই ইডি তলব করে অভিষেককে। নিয়োগ মামলায় ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের থেকে কী কী নথি প্রয়োজন তা আদালতে বুঝিয়ে দেয় ইডি।
এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ নিয়ে প্রশ্ন তুলে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি উদয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ ছিল, নথি ১০ অক্টোবর অভিষেককে জমা দিতেই হবে। তদন্তের স্বার্থেই সেসব নথির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে উল্লেখ ছিল, ১০ তারিখে নথি জমা দিলে, তা খতিয়ে দেখবে ইডি। তারপরও জিজ্ঞাসাবাদ করার প্রয়োজনীয়তা থাকলে ৪৮ ঘণ্টা আগে নোটিস দিয়ে তলব করতে হবে তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'কে।
এদিন নিয়োগ দুর্নীতি মামলা ফের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে ওঠে। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, এই মামলায় এখনও পর্যন্ত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোনও নথি জমা দেননি। তখন বিচারপতি সিনহা জানতে ডিভিশন বেঞ্চ নথির হার্ড কপি নাকি সফট কপি চেয়েছিল। জবাবে ইডির আইনজীবী জানান, অভিষেককে হার্ড কপি দেওয়ার কথাই বলা হয়েছিল। সফট কপির বিষয়টি জানা নেই।
এরপরই বিচারপতি অমৃতা সিনহা জানান, আদালতের নির্দেশ না মানলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে পারবে ইডি। তবে এদিন সন্ধেতেই জল্পনার অবসান ঘটেছে। ইডির দফতরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নথি নিয়ে পৌঁছে গিয়েছেন দু'জন।
আরও পড়ুন- ১০০ দিনের টাকা: বাইরে বিস্তর হম্বিতম্বি অভিষেকদের, কিন্তু আদালতে কী বলল মমতা সরকার?