মুম্বইয়ে ইন্ডিয়া জোটের তৃতীয় বৈঠকে বিরাট দায়িত্ব পেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২৮ দলের ইন্ডিয়া জোটের ১৩ সদস্যের সমন্বয় কমিটিতে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নেই সনিয়া গান্ধী, রাহুল গান্ধী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এছাড়াও ইন্ডিয়ার সমন্বয় ওই কমিটিতে আছেন কেসি বেণুগোপাল, শরদ পাওয়ার, টিআর বালু, সঞ্জয় রাউত, তেজস্বী যাদব, লালন সিং, রাঘভ চাড্ডা, হেমন্ত সোরেন, যাদব আলি খান, ডি রাজা, ওমর আবদুল্লা, ডি রাজা, মেহবুবা মুফতি। তবে, সিপিআইএম-এর কেউ সমন্বয় কমিটিতে নেই।
ইন্ডিয়া-র তরফে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন রাজ্যে বিরোধী জোটের আসন সমঝোতা প্রক্রিয়া অবিলম্বে চুড়ান্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বৈঠকে। যতটা সম্ভব একত্রিত হয়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই জোট। দেশের বিভিন্ন অংশে ব়্যালি-জনসভা করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। 'জুড়েগা ভারত, জিতেগা ইন্ডিয়া'র মতো স্লোগান বিভিন্ন ভাষায় প্রচার করা হবে।
কেন সিপিআইএম-এর কোনও প্রতিনিধি সমন্বয় কমিটিতে নেই? ইতিমধ্যেই এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠছে জোটের ভবিষ্যত নিয়ে। তবে শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাউত জানিয়েছেন, কমিটিতে সিপিএমের এক নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। সিপিআইএমের তরফে তাঁর নাম পরে জানানো হবে।
বড় দায়িত্ব পেলেও দুর্নীতির প্রশ্নে অভিষেকের বিরুদ্ধে ভুরি ভুরি অভিযোগে সরব ইন্ডিয়া জোটের একাধিক শরিক দলের প্রদেশ নেতৃত্ব। তৃণমূলের সঙ্গে জোট নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের অন্দরে বিরোধী রয়েছে। সিপিআইএম জানিয়েছে দল সর্বভারতীয়স্তরে ইন্ডিয়া জোট থাকলেও বাংলায় তৃণমূলের বিরুদ্দে লড়াই চালাবে। এসবের মধ্যেই বৃবস্পতিবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাহুল গান্ধীর বাড়িতে যাওয়ার বিষয়টি জানাজানি হয়েছে। এদিন, ইন্ডিয়া জোটের বৈঠকে মমতা, সনিয়াকে হাসিমুখে কথা বলতে দেখা গিয়েছে। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হলেন বিরোধী জোটের বড় দায়িত্বে। যা আদতে ইন্ডিয়া জোটের বিভিন্ন শরিক দলের প্রদেশ সংগঠনে বিক্ষুব্ধদের বিরাট বার্তা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
আরও পড়ুন- ইন্ডিয়ায় কংগ্রেস-তৃণমূল: বাংলায় কে কটা আসনে লড়তে পারে?