গত সপ্তাহে অভিষক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির প্রশংসা করেছিলেন এসএসসি দুর্নীতি মামলায় ধৃত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ডের মারাত্মক স্তুতি শোনা গেল একই মামলায় ধৃত বহিষ্কৃত জোড়া-ফুল নেতা কুন্তল ঘোষের মুখে। গোটা দেশের 'যুবরাজ' বলে ডায়মন্ড হারবারের সাংসদকে সম্বোধন করলেন কুন্তল।
কী বলেছেন কুন্তল?
নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত নিলাদ্রী ঘোষ, তাপস মণ্ডলদের সঙ্গে শুক্রবার আদালতে পেশ করা হয় কুন্তল ঘোষকেও। আদালতে ঢোকার মুখে গাড়ি থেকে নামার সময় কুন্তলকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার যাত্রা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। জবাবে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত বলাগড়ের তৃণমূল নেতা (বহিষ্কৃত) বলেন, 'ভারতের যুবরাজের যাত্রায় জনজোয়ার।'
অর্থাৎ অভিষেককে দেশের 'যুবরাজ' বলে সম্বোধন করলেন কুন্তল ঘোষ। যা রাজনীতির প্রেক্ষাপটে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
আরও পড়ুন- কেষ্টহীন বীরভূমে অভিষেকের সফরের মাঝেই দলত্যাগ কর্মীদের, ‘বিপদ’ বুঝে আজই বৈঠক
ইডি, সিবিআইকে নিয়ে গত মার্চের শেষে শহিদ মিনারের মঞ্চ থেকে সমালোচনা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরই শোনা যায় কুন্তলের মুখে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তোলপাড় পড়ে যায়। তাঁকে অভিষেকের নাম নিতে বলে কেন্দ্রীয় এজেন্সির কর্তারা অত্যাচার কর বলে দাবি করেন কুন্তল। অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠিও দেন জেলবন্দি। পুলিশের হস্তক্ষেপ চেয়ে সেই চিঠি দেওয়া হয় হেস্টিংস থানাতেও। কুন্তলের সেই মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছিলেন, প্রয়োজনে এ বিষয়ে অভিষেককে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারবে কেন্দ্রীয় সংস্থা। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট এই সংক্রান্ত মামলা থেকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেন। বিচারের দায়িত্বে আসেন বিচারপতি অমৃতা সিন্হা। তাঁর বেঞ্চে মামলায় অব্যাহতি চেয়ে আবেদন জানিয়েছেন অভিষেক। যদিও শুক্রবার সেই আবেদনের ভিত্তিতে 'রক্ষাকবচ' দেয়নি আদালত। বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই প্রসঙ্গে বলেছেন, 'আদালতের দরজা ২৪ ঘণ্টা ৭ দিন খোলা থাকবে। প্রয়োজন মনে করলে যখন খুশি আসবেন। কিন্তু কোনও রক্ষাকবচ নয়।'