Justice Abhijit Ganguly: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলার সরানোরও আর্জি জানিয়েছিলেন তৃণমূলের 'সেনাপতি'। কিন্তু অভিষেকের সেই আর্জি প্রথম শুনানিতেই খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছেন, অভিষেকের আবেদনের কোনও যুক্তি সঙ্গত কারণ নেই। অভিষেকের আইনজীবী সঞ্জয় বসুর দাবি, নতুন করে তাঁর মক্কেলকে কোর্টে আবেদন করতে হবে।
১০ জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্টের দুই বিচারপতির বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বিচারপতির অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে অভিষেকের সম্পত্তির হিসাব ও তার উৎস জানতে চেয়েছিলেন। তা নিয়ে বিতর্কও হয়েছিল। এক জন বিচারপতির প্রকাশ্যে এমন মন্তব্যের নিন্দা করেন শাসক দলের একাংশ। এই আবহে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন অভিষেক।
পাঁচদফা অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে জানিয়েছিলেন অভিষেক-
প্রথমত- বিচারপতি আদালতের ভিতরে বা বাইরে বাদী-বিবাদী পক্ষকে নিয়ে নানা মন্তব্য করে থাকেন। সেই সব মন্তব্য যাতে কোনও ভাবেই তদন্তকে প্রভাবিত না করে, তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হোক।
দ্বিতীয়ত- রাজনৈতিক ভাবে প্রভাবিত হয়ে বিচারাধীন বিষয় নিয়ে সাক্ষাৎকার দিচ্ছেন বিচারপতি। যা বিচারব্যবস্থার নীতি-আদর্শের বিরুদ্ধাচরণের শামিল। সাংসদের আর্জি, ওই বিচারপতির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন- Abhishek Banerjee: কী এমন ঘটল? তৃণমূল নিয়ে মুখ খুললেন ‘সেনাপতি’ অভিষেক
তৃতীয়ত- কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে একটি বিশেষ বেঞ্চ তৈরি করতে নির্দেশ দেওয়া হোক। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চে যে সব মামলা রয়েছে, তাঁর বেঞ্চ থেকে যে মামলাগুলি সরে অন্য বেঞ্চে (বিচারপতি অমৃতা সিংহের বেঞ্চ) গিয়েছে, সেই সব মামলার শুনানি ওই বিশেষ বেঞ্চেই হোক।
চতুর্থত- বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যাতে কোনও বিচারাধীন বিষয় নিয়ে প্রকাশ্যে মন্তব্য না করেন, তা নিশ্চিত করতে হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতিকে নির্দেশ দেওয়া হোক।
আরও পড়ুন- ISF: বিরাট ধাক্কা নওশাদদের, মমতার আইনি চ্যালেঞ্জে কুপোকাত আইএসএফ
পঞ্চমত- সব তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে এই পরিস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্ট যা উচিত মনে করবে, তেমনই নির্দেশ দেওয়া হোক বলেও আর্জিতে জানান অভিষেক।
কী বলেছিলেন বিচারপতি?
'কেউ বলতে পারেন, আমাকে চাঁদ পেড়ে এনে দাও। চাঁদ তাঁকে পেড়ে এনে দেওয়া হবে কিনা সেটা দেখার বিষয়। সুপ্রিম কোর্টে যে কেউ যেতে পারেন।'