হাইকোর্টের নির্দেশ মতো তাঁর আয়ের উৎস, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টর পদ নিয়ে নথিপত্র জমা করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই নথি প্রায় পাঁচ হাজার পাতার। মঙ্গলবার বিচারপতি অমৃতা সিনহাকে সেই বিষয়টি জানায় ইডি-র আইনজীবী। এরপরই বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন করেন, 'এত নথিপত্র এল কীভাবে? কিছু না থাকলে এত নথিপত্র আসে কী? সেগুলি খতিয়ে দেখেছেন? কোথা থেকে এল? এত টাকার উৎস কী, সেটা দেখেছেন? সব সম্পত্তি ২০১৪ সালের পর কীভাবে? এত অল্প সময় কীভাবে হল? আবার নিয়োগ দুর্নীতিও একই সময়। কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি?'
জবাবে ইডি-র আইনজীবীর ব্যাখ্যা, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ নিয়ে আগামী বৃস্পতিবার আদালতে মুখ বন্ধ খামে নথি জমা দেবেন তারা।
পাল্টা বিচারপতি সিনহা প্রশ্ন করেন, অভিষেকের আয়ের উৎস কী? ওই নথি থেকে তা কি উদ্ধার হয়েছে? জবাবে ইডি জানিয়েছে, ওই নথি থেকে প্রচুর লেনদেন পাওয়া গিয়েছে। বিচারপতি সিংহ জানিয়েছেন, সেগুলি আলাদা করে জানাতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ হবে কি না, সেই প্রশ্নও করেছেন বিচারপতি। বলেন, 'আপনাদের তদন্তে আমি কিছুই দেখতে পাচ্ছি না।' জবাবে ইডি জানিয়েছে, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তদন্ত শেষ করার চেষ্টা চলছে। তদন্তে প্রতি দিনই নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে।
বিচারপতি সিনহার পর্যবেক্ষণ, অধিকাংশ সম্পত্তি ২০১৪ সালের পর থেকে বৃদ্ধি হয়েছে। আবার এই সময়ের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছে। দু'টোর মধ্যে কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখেছেন?