Conflict between young and old in tmc: তৃণমূলের অন্দরে মমতা বনাম অভিষেক বিতর্ক যেন কিছুতেই থামছে না। দলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব নিয়ে বুধবারের বৈঠকেই কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কিন্তু ওই বৈঠকে অভিষেকের বডি-ল্যাঙ্গুয়েজ শাসক শিবিরে নয়া বিতর্কের ইন্ধন জুগিয়েছে।
মেদিনীপুরের দলীয় সংগঠন নিয়ে বুধবার কালীঘাটে দলনেত্রীর বাড়তেই ছিল তৃণমূলের বৈঠক। সেখানে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীরা ছিলেন। দেখা গিয়েছে, সুব্রতবাবুর পাশেই বসেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, এই বৈঠকে তেমনভাবে মুখ খোলেননি দলের 'সেনাপতি'। প্রায় সর্বক্ষণই থম মেরে ছিলেন ডায়মণ্ড হারবারের সাংসদ!
সূত্রের খবর, মাইক্রোফোন হাতে তেমন কোনও বার্তা দেননি অভিষেক। তৃণমূল নেত্রী মমতার নির্দেশে ওই বৈঠকে উপস্থিত নেতা-নেত্রীদের শুধু শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।
তৃণমূলের অন্দরের খবর, বুধবারের বৈঠক শেষের পরই কালীঘাট ছাড়েন দলের 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড'।
আরও পড়ুন- Mamata Banerjee: তৃণমূলে নবীন-প্রবীণ বিতর্কে মুখ খুললেন মমতা, বদলাবে জোড়-ফুলের রাজ্য মুখপাত্র?
দলে বয়সসীমা বিতর্কে প্রকাশ্যেই ভিন্নমত প্রকাশ করেছেন মমতা ও অভিষেক। তারপর থেকে গত কয়েক মাস ধরে জোড়-ফুলে নবীন-প্রবীণ দ্বন্দ্ব চরমে। দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ছাপিয়ে গিয়েছিল এই ইস্যুতে নেতা-নেত্রীদের মন্তব্যে। এসবের মধ্যেই বুধবারের বৈঠকে ঘাস-ফুলের অন্দরে চলতে থাকা দ্বন্দ্ব নিয়ে মুখ খোলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, বৈঠকে দলনেত্রী স্পষ্ট করে দিয়েছেন, তৃণমূল দলে গণতন্ত্র রয়েছে মানে যা নয় তাই করা যাবে, এমন চলবে না। কারও কিছু বলার থাকতেই পারে। তা দলের মধ্যেই বলতে হবে। দলের অনুমতি ছাড়া মিডিয়ার সামনে কিছু বলা যাবে না। সোশাল মিডিয়ায় দুমদাম পোস্টও করা যাবে না।
এরপর থেকেই উস্কে গিয়েছে তৃণমূলের রাজ্য মুখপাত্র বদলের সম্ভাবনা। নেত্রীর নিশানায় অভিষেক ঘনিষ্ঠ কুণাল ঘোষ? ইতিমধ্যেই তা নিয়ে চর্চা চলছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, নীরবতারও নিজস্ব ভাষা রয়েছে। চুপ থেকেও অনেক কিছু ইঙ্গিতে বোঝানো যায়। বর্তমানে সেই কৌশলই প্রয়োগ করছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কালীঘাটের বৈঠকে নেত্রীর সামনে চপু থাকা বা রাজ্যের সর্বত্র না গিয়ে লোকসভায় নিজের সংসদীয় এলাকায় নিজেকে গুটিয়ে রাখার আগ্রহ প্রকাশ আসলে সেই কৌশলেরই অংশ। তৃণমূলের সেনাপতি স্পষ্ট করতে মরিয়া যে, দলের বয়সসীমা বিতর্কে নিজের অবস্থানে এখনও তিনি অনড়।