বিজেপিতে যোগ দেওয়ার একদিনের মধ্যে ফের তৃণমূলে ফিরে যান তিন আদিবাসী মহিলা। দক্ষিণ দিনাজপুরের সেই তিন আদিবাসী মহিলাকে প্রায়শ্চিত্ত করানোর জন্য দণ্ডি কাটানো হয়। সেই দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়। রাষ্ট্রপতিকে চিঠি দিয়ে ঘটনার প্রতিবাদ জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ঘটনায় জড়িত থাকায় জেলা মহিলা সভাপতি প্রদীপ্তা চক্রবর্তীকে সরিয়ে দেয় তৃণমূল। এবার সেই তিন মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Advertisment
মঙ্গলবার সন্ধেয় জনসংযোগ যাত্রায় সেই ৩ আদিবাসী মহিলার সঙ্গে দেখা করেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচিতে উত্তরবঙ্গ সফরে রয়েছে অভিষেক। মঙ্গলবার দক্ষিণ দিলাজপুরের তপনে সেই তিন মহিলার সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন অভিষেক। পরে সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "গত ৭ এপ্রিল যে ঘটনা ঘটেছিল, তাঁকে সভ্য সমাজের কোনও মানুষ সমর্থন করে না। দলগত ভাবেও সমর্থন করা যায় না। তৃণমূল বা অন্য কোনও রাজনৈতিক দল কেউই এই ঘটনাকে সমর্থন করতে পারে না।"
অভিষেক আরও বলেন, "আমাদের যিনি মহিলা তৃণমূল সভাপতি ছিলেন তাঁর ভূমিকা ছিল বলে শুনেছিলাম। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ৩ আদিবাসী বোনের সঙ্গে দেখা করেছি। তাঁদের সঙ্গে চা খেয়েছি। তাঁরা আলাদাভাবে কিছু বলেছেন আমাকে। সেসব কথা প্রকাশ্যে বলা যাবে না। দলের যত বড় নেতা-নেত্রী এর সঙ্গে জড়িত থাকুন না কেন, কাউকেই রেয়াত করা হবে না।"
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল চার আদিবাসী তরুণী বিজেপিতে যোগ দেন। মার্টিনা কিস্কু, শিউলি মার্ডি, ঠাকরণ সোরেন, মালতি মুর্মুরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তৃণমূলে ফিরে আসেন। কিন্তু বিজেপিতে যাওয়ার শাস্তি হিসাবে রাস্তায় তাঁদের দণ্ডি কাটানো হয়। বালুরঘাট শহরের কোর্ট মোড় থেকে দণ্ডি কাটতে কাটতে প্রায় ১ কিমি দূরে তৃণমূল কার্যালয় পর্যন্ত আসেন তাঁরা। তার পর সেখানে এসে দলে যোগ দেন। এই ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে যায়। এদিন অভিষেক তাঁদের তিনজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।