মদন মিত্র, কুণাল ঘোষরা সারদা মামলায় জেলে থাকাকালীন তাঁদের মুখ দিয়ে তাঁর নাম বের করার জন্য চাপ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা৷ এ দিন শহিদ মিনারে তৃণমূলের ছাত্র- যুবদের সভায় এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷
শহিদ মিনারে দলের ছাত্র-যুবদের সমাবেশে বুধবার অভিষেক দাবি করেন, সারদা কেলেঙ্কারির সময় থেকেই কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়ে তাঁকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে বিজেপি৷ কয়লা পাচার কাণ্ডে ইতিমধ্যেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ইডি৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অবশ্য এ দিনও দাবি করেছেন, গোটাটাই তাঁর বিরুদ্ধে চক্রান্ত৷ নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও কটাক্ষ করেছেন অভিষেক৷ তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেন, 'তিন বছর হয়ে গেল মুখ দিয়ে অভিষেক বেরোয়নি, ভাইপোতেই আটকে, কী জ্বালা, কী ভয়!'
এর পরেই সারদা কাণ্ডের প্রসঙ্গ টানেন তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মঞ্চে বসা মদন মিত্রকে দেখিয়ে ও কুণাল ঘোষের নাম নিয়ে অভিষেক বলেন, 'বর্তমান তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ সারদা কাণ্ডে দীর্ঘদিন জেলে ছিলেন। ওঁদের যখন আটকে রেখেছিল, তখন বার বার বলত অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বলুন ছেড়ে দেব৷' তারপরই মদন, কুণালের দিকে তাকিয়ে অভিষেক জিজ্ঞেসও করেন, 'কী বলত না?' অভিষেকের কথায় সম্মতি জানান দুই নেতা৷
আরও পড়ুন- রাহুল মামলাই অস্ত্র অভিষেকের! শুভেন্দুর বিরুদ্ধে আদালতে যাচ্ছে তৃণমূল
অর্থাৎ বেশ কয়েক বছর আগে থেকে থেকেই যে তাঁকে কেন্দ্রীয় এজেন্সি মারফৎ মোদী সরকার নিশানা করেছে এদিনের বক্তব্যে তা স্পষ্ট করতে চাইলেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'।
এদিনও অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, 'তৃণমূল একমাত্র দল যারা দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে৷ জেলে যাওয়ার ৬ দিনের মধ্যে দল থেকে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে বরখাস্ত করা হয়েছে। ভারতবর্ষের আর কোনও দল পারবে? আমার পিছনে ইডি, সিবিআই লাগাতে হবে না৷ নারদা, সারদা, গরু, পাচার, কয়লা পাচার, কোথাও যদি আমার নাম প্রমাণিত হয়, তাহলে এই শহিদ মিনারে নিজে এসে মৃত্যুবরণ করব৷'