যাঁর বিরুদ্ধে তাঁর ধরনা। যিনি না-আসলে পুজোর মধ্যেও ধরনা চালিয়ে যাবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস এবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়ষী প্রশংসা করলেন। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত বড় মাপের নেতা। তিনি আগামী দিনে জাতীয় নেতা হয়ে উঠবেন। একইসঙ্গে, রাজ্যপাল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি শীঘ্রই কলকাতায় ফিরবেন। আর, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
একইসঙ্গে রাজ্যপাল এ-ও জানিয়েছেন, তিনি বাংলার বঞ্চিত জনগণের জন্য অর্থ আদায়ের লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে দরবার করবেন। কিন্তু, যদি এক্ষেত্রে রাজনৈতিক চাপ আসে তাহলে তাঁর কিছু করার নেই। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর এমনটাই জানিয়েছেন তৃণমূলের দুই সাংসদ প্রতিনিধি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও মহুয়া মৈত্র। শনিবার শৈলশহর দার্জিলিঙের রাজভবনে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের তিন সদস্যের প্রতিনিধি কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, মহুয়া মৈত্র ও পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়নমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার। রাজ্যের উত্তরবঙ্গে সাম্প্রতিক বন্যা পরিস্থিতিতে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই কারণেই পরিস্থিতি সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে গিয়েছেন।
আরও পড়ুন- বিজেপি দফতরে আহ্বান অভিষেককে! কী পরিকল্পনা সুকান্তর? বিরাট শোরগোল
এই পরিস্থিতিতে তাঁর কলকাতায় ফিরতে দেরি হওয়ায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদের দার্জিলিঙে সময় দেন। এই প্রসঙ্গে শুক্রবার রাজভবনের সামনের ধরনা মঞ্চ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, 'উনি (রাজ্যপাল) ইমেল পাঠিয়েছেন যে বিকেল ৫টায় দেখা করতে চান। আমরা পদটাকে (রাজ্যপাল) সম্মান করি। বাংলাকে সম্মান করি। বাংলার অধিকারের স্বার্থে লড়াই করছি। কাল ২-৩ জনকে পাঠাব।' সেই মতো শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দার্জিলিঙের রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করেন। রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকের পর বাইরে এসে মহুয়া মৈত্র জানান, রাজ্যপাল কার্যত স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে রাজ্য বিজেপি যদি বাধা না-দেয়, তাহলে রাজ্যের বকেয়া অর্থ কেন্দ্রের থেকে পেতে দেরি হবে না।