সাংবাদিক বৈঠক ডেকে স্ত্রীর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করলেন তৃণমূল যুবর সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের স্ত্রী কলকাতা বিমানবন্দরে দু'কেজি সোনা সমেত শুল্ক দফতরের হাতে ধরা পড়েন এবং বিধাননগর পুলিশের 'সাহায্যে' সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন, এমন অভিযোগ করা হচ্ছে বিভিন্ন মহল থেকে। রবিবার সেই অভিযোগই উড়িয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। বরং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদের প্রশ্ন, তিনি অমিত শাহর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন বলেই কি এমন পদক্ষেপ? অভিষেকের দাবি, তাঁর স্ত্রী বলেই এমন 'নিম্নরুচির' রাজনীতি করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন, ‘ঘর কা ছোরো’ সব্যসাচীর ‘ঘর’ ছাড়ার জল্পনা তুঙ্গে
অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর কাছে দু'কেজি সোনা ছিল এবং 'ভিআইপি' পরিচয় দিয়ে বিধাননগর পুলিশ তাঁকে গ্রিন করিডোর দিয়ে বিমানবন্দর থেকে বাইরে নিয়ে আসে। এদিন অভিষেক বলেন, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ যদি সিসিটিভি ফুটেজ দেখাতে পারেন এবং সেখানে যদি অভিযোগ প্রমাণ হয়, সেক্ষেত্রে তিনি রাজনীতি ছেড়ে দেবেন। বরং শুল্ক দফতরের কর্মীরাই তাঁর স্ত্রীর কাছ থেকে ঘুষ চেয়েছিলেন বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন অভিষেক।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অভিষেক মোট পাঁচটি প্রশ্ন তুলেছেন - ১) তাঁর স্ত্রীকে 'র্যান্ডাম প্রোফাইল'-এর ভিত্তিতে চিহ্নিত করা হয়েছিল বলে জানানো হয়েছে এফআইআর-এ। অভিষেকের প্রশ্ন, এ ক্ষেত্রে 'প্রোফাইল' শব্দের অর্থ কী? ২) তাঁর স্ত্রীর কাছে সোনা থাকলে, তা বাজেয়াপ্ত করা হল না কেন? ৩) বিধাননগর পুলিশ যদি বাধা দিয়ে থাকে, তাহলে শুল্ক দফতর কেন সিআইএসএফ-এর সাহায্য চাইল না? ৪) ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর এফআইআর দায়ের করতে কেন সাতদিন সময় নিল শুল্ক দফতর? ৫) সিআইএসএফ ও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের আওতায় তো গোটা ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে, তাহলে তা সামনে আনা হচ্ছে না কেন?
আর পড়ুন, বিজেপিতে যোগ দিয়ে বাংলায় পালাবদল চান প্রাক্তন সিপিএম নেতা
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ, উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তাঁর স্ত্রীকে আক্রমণ করা হচ্ছে। তাঁর সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পেরেই পরিবারকে আক্রমণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ মাধ্যমে শুল্ক দফতরের এফআইআর-এর প্রতিলিপি কীভাবে পৌঁছে গেল, সে প্রশ্নও তুলেছেন অভিষেক। তিনি ফৌজদারি এবং দেওয়ানি মানহানির মামলা করবেন বলেও জানিয়ে দিয়েছেন।