লোকসভা নয়, তৃণমূল কংগ্রেসের আসল টার্গেট বাংলার বিধানসভা। এরাজ্য অর্থাৎ বাংলায় ক্ষমতায় ফেরা। রবিবার তা স্পষ্ট করে দিলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী বছরই লোকসভা নির্বাচন। কিন্তু, তাঁর চোখে যে তিন বছর পরের নির্বাচন বা ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোট ভাসছে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন অভিষেক। দলের 'জনসংযোগ যাত্রা'য় বের হয়ে এখন তিনি একের পর এক জেলা সফর করছেন।
রবিবার সফরে অভিষেক উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ায় সভা করেন। সেখানে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দলের লক্ষ্যমাত্রাও স্থির করে দেন। অভিষেক সভায় জানান, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস ২৪০ আসন নিয়ে ক্ষমতায় ফিরবে। নিয়োগ দুর্নীতি, কয়লা এবং গরুপাচারের অভিযোগে জেরবার হলেও দল যে এবারের পঞ্চায়েত ভোটে ব্যাপক সাফল্য পাবে, সেটাও স্পষ্ট করে দেন তিনি।
রবিবার এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে অভিষেক বলেন, 'সিবিআই আর ইডিকে দিয়ে ধমকে-চমকে কোনও লাভ হবে না। অন্য কোনও দল ভয় পেতে পারে। তৃণমূল কংগ্রেসকে এভাবে ভয় পাওয়ানো যায় না। আমাকেও তো নোটিস পাঠিয়েছে। কিন্তু, তাতে কোনও লাভ হবে না। যত নোটিস আসবে, আন্দোলন ততই বাড়বে। তৃণমূল কংগ্রেসকে আটকানো যাবে না। ২০১১ সালে তৃণমূল কংগ্রেস ১৮৪ আসন পেয়েছিল। ২০১৬ সালে পেয়েছে ২১১ আসন। আর, ২০২১ সালে পেয়েছে ২১৪ আসন। ২০২৬ সালে সেটাই বেড়ে হবে ২৪০। যত ধমকাবেন, যত চমকাবেন, তৃণমূল কংগ্রেস ততই শক্তিশালী হবে।'
আরও পড়ুন- আদালতে তৃণমূলের ‘ঢাল’ দলের তাবড় নেতা, সেটিং তত্ত্বে বিদ্ধ কংগ্রেসও
ইডি ও সিবিআই ইস্যুতে কেন্দ্রকে নিশানা করতে গিয়ে সভায় বাংলার বঞ্চনার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি জানান, বাংলার মানুষের প্রাপ্য টাকা দিল্লির সরকার আটকে রেখেছে। সেই টাকা ফিরিয়ে আনতে তিনি দিল্লি যাবেন। প্রয়োজনে দিল্লিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধরনায় বসবেন। দিল্লির বুক থেকে বাংলার অধিকার ফিরিয়ে আনবেন বলেও জানিয়েছেন অভিষেক।