ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার ও উপভোক্তাদের সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পের নানা পরিষেবা পাইয়ে দিয়ে স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনের মাধ্যমে সুনির্দিষ্ট একাধিক পদক্ষেপ করছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যা রাজ্য রাজনীতিতে 'ডায়মন্ড হারবার' মডেল নামে পরিচিত। এই মডেল ঘিরে তৃণমূলের অন্দরে অতীতে নানা প্রশ্ন উঠেছে। কটাক্ষ ছুঁড়েছেন বিরোধীরা। বিতর্ক যাই থাকুক না কেন, এই মডেল ফের আলোচনায়। সম্প্রতি নিজের লোকসভা কেন্দ্রের ভোটার ও উপভোক্তাদের বার্ধক্যভাতা পাইয়ে দিতে নবান্নকেই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, ওই লোকসভা কেন্দ্রের আওতায় গরিব ও বয়স্ক নাগরিকদের খুঁজে বের করে তাঁদের বার্ধক্য ভাতা নিশ্চিত করতে হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা এলাকায় বার্ধক্য ভাতার টাকা ছেড়ে দিতে হবে নবান্নকে।
সূত্রের খবর, তৃণমূলের অনুমান ছিল ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে প্রায় ৭০ হাজার প্রবীণ নাগরিক বার্ধক্য ভাতা পেতে পারেন। কিন্তু শিবিরের পর দেখা যাচ্ছে ওই যোগ্য উপভোক্তাদের আবেদনের সংখ্যা ৭০ হাজার ছাপিয়ে যাচ্ছে। তাই ডায়মন্ড হারবার এলাকার প্রতিটি ব্লক ও বুথ ধরে ধরে সাংসদের স্বেচ্ছা সেবকরা নতুন করে যোগ্য বার্ধক্য ভাতা উপভোক্তাদের খোঁজার কাজ চালাচ্ছেন। এতে যোগ্য উপভোক্তার সংখ্যা হচ্ছে প্রায় ৪৮ হাজার। এছাড়াও নতুন উপভোক্তা রয়েছেন ৭ হাজারের সামান্য বেশি।
এঁদের সকলের বার্ধক্য ভাতা ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে রিলিজ করার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে সময়সীমা দিয়েছেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এখন প্রশ্ন হল ওই টাকা রিলিজ না হলে কী পদক্ষেপ করবেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড-ইন-কমান্ড'? এখনও এর কোনও সুনির্দিষ্ট জবাব মেলেনি।
তবে তৃণমূল সূত্রে খবর,মমতা সরকার ডায়মন্ড হারবারের যোগ্য উপভোক্তাদের বার্ধক্য ভাতা ৩১শে ডিসেম্বরের মধ্যে রিলিজ না করলে ১ জানুয়ারি থেকে ওই অর্থ নিজেই বন্দোবস্ত করে দিতে পারেন সাংসদ।
এর আগে রাজ্যে ১০০ দিনের কাজের 'বঞ্চিত' শ্রমিকদের প্রাপ্য টাকা দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জানিয়েছিলেন, তৃণমূলের জনপ্রতিনিধিদের বেতনের অর্থ থেকে ওই অর্থ যোগানো হবে। শেষপর্যন্ত কথা রেখে ছিলেন তিনি। এবারও কী সেই পথেই হাঁটতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাইপো?
আরও পড়ুন- বর্ধমান স্টেশনে হাড় হিম কাণ্ড, নিহত ৩, প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের দফারফা