লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশনে বেশ কিছু ইংরেজি ও হিন্দি শব্দগুচ্ছের উপর নিষেধাজ্ঞা জারির ঘোষণা করেছে লোকসভার সচিবালয়। আঞ্চলিক ভাষাতেও ওইসব শব্দ প্রয়োগ করা যাবে না। অধিবেশনে কোন কোন শব্দ প্রয়োগ করা যাবে না, তা নিয়ে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। যা নিয়েই সরব বিরোধীরা। কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিদ্ধান্তকে 'লজ্জার' বলে তোপ দেগেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর মতে, 'ব্রিটিশ শাসনেও মানুষ এত পরাধীন ছিল না।'
আগামী ১৮ জুলাই থেকে শুরু হবে সংসদের বাদল অধিবেশন। আসন্ন অধিবেশনে নিষিদ্ধ- 'বিশ্বাসঘাতকতা’, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’, ‘লজ্জাজনক’, ‘নির্যাতন’, ‘নাটক’, ‘ভণ্ডামি, ‘নৈরাজ্যবাদী’, ‘শকুনি’, ‘স্বৈরাচারী’, ‘বিনাশপুরুষ’, ‘খলিস্তানি’, ‘জয়চাঁদ’, ‘তানাশাহি’, জুমলাজীবী’, ‘বাল বুদ্ধি’ , ‘কোভিড স্প্রেডার’, ‘স্নুপগেট', ‘অ্যাশেমড’, ‘বিট্রেড’ শব্দের প্রয়োগ।
যা নিয়ে বৃহস্পতিবার মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেছেন, 'লজ্জার বিষয়। ব্রিটিশ শাসনেও মানুষ এত পরাধীন ছিল না। সবটাই ওরা পৈত্রিক সম্পত্তি বলে মনে করছেন। ওনারা ঠিক করে দেবেন কী বলব? তাহলে আর সংসদ রেখে কী লাভ?'
পাশাপাশি জাতীয় প্রতীক বিতর্কেও এ দিন মোদী সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল বিধায়ক। বলেছেন, 'নতুন সংসদ ভবনের উপর জাতীয় প্রতীকের উদ্বোধন কেন রাষ্ট্রপতিকে দিয়ে করানো হল না? আসলে মুখে দলিত, আদিবাসীদের রাষ্ট্রপতি করা হচ্ছে বলে প্রচার করলেও ওরা আসলে ওই পদের অসম্মানই করেন। কিন্তু, এইসব বিতর্কের চেয়েও মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব, কর্মসংস্থানের বিষয়গুলি গুরুত্বপূর্ণ। এগুলো নিয়ে তৃণমূল লড়াই করবে।'