পঞ্চায়েত ভোটের আগে দলের নেতা কর্মীদের চাঙ্গা করতে ও পঞ্চায়েত ভোটে স্বচ্ছ প্রার্থী বাছাইয়ের লক্ষ্যে তৃণমূল কংগ্রেস 'নব-জোয়ার' কর্মসূচি পালন করছে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলা অতিক্রম করে মঙ্গলবার বিকেলে পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি সাংগঠনিক জেলার পটাশপুর হয়ে জেলায় প্রবেশ করেন। এদিন প্রথমে পটাশপুরে তৃণমূলের 'সেকেণ্ড ইন কমান্ড' অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নব-জোয়ার কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন।
এদিন পটাশপুরে পথসভা করেন অভিষেক। পথসভায় কেন্দ্রের বকেয়া টাকার জন্য জোটবদ্ধ হওয়ার কথা বলার পাশাপাশি দিলীপ ঘোষের করা মন্তব্যের জাবাব দেন অভিষেক। বলেন, 'এখনও অনেকদিন বাইরে থাকবো, ক্ষমতা থাকলে ঘোষে দেখান। তারিখ ও সময় বলে দিন আমি পৌঁছে যাব। ঘোষে দেখাক।'
পাশাপাশি অভিষেকের নির্দেশ, 'পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি পঞ্চায়েত দখলে রাখতে জোটবদ্ধ হয়ে এখন থেকে প্রস্তুত হন। আমি এই জেলায় থাকব। আপনাদের ভয় পাওয়ার কিছু নেই।' পটাশপুরের পর র্যালি করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এগরায় যান। সেখানে হটনাগর মন্দিরে পূজো দেন। এগরা থেকে কুদি হয়ে নেওগুয়ায় এসে বঙ্কিমচন্দ্রের মুর্তিতে মাল্যদান করেন। পরে পানিপারুল হয়ে রামনগর বিধানসভায় ঢুকবে র্যালি।
আরও পড়ুন- গাঁজা পাচারে চরম অভিনবত্ব, হার মানাবে পুষ্পা সিনেমায় চন্দন কাঠ পাচারকেও
এদিনের কর্মসূচি শেষে বুধবার (৩১ মে) কাঁথি থেকে যাবেন দেশপ্রাণ পঞ্চায়েত সমিতি অফিসে। সেখানে বঙ্কিমচন্দ্রের মুর্তিতে মাল্যদান করে নদী পেরিয়ে মসনদি আলা ঘাটে যাবেন। মৎস্যজীবীদের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা সেখানে। ফিরে এসে কাঁথি হয়ে র্যালি পৌঁছাবে বাজকুলে। কর্মসূচীকে ঘিরে পুলিশ প্রশাসনে চরম ব্যস্ততা। সফর সূচী অনুযায়ী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে বহু এলাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। অন্ধকার জায়গাগুলিতে আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। যে রাস্তা দিয়ে অভিষেক যাচ্ছেন সেই রাস্তার দুধারে উপচে পড়া মানুষের ঢল। তাদের সঙ্গে কথা বলেন, তাদের কথা শোনেন। আগামী ২ রা জুন পর্যন্ত জেলার চণ্ডীপুর, নন্দীগ্রাম, মহিষাদল,নন্দকুমার, ময়না, কোলাঘাট হয়ে কর্মসূচির শেষ হবে।