২০ মিনিটের বৈঠকে বাংলার বকেয়া সমস্যা মেটাতে ২৪ ঘন্টার সময় চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। কিন্তু, অভিষেকরা সিভি আনন্দ বোসকে দিলেন ২ সপ্তাহের সময়সীমা। এই ঘোষণার পরই রাজভবনের সামনে থেকে ধর্না কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, 'রাজ্যপাল খুব ভাল ব্যবহার করেছেন। আমাদের সঙ্গে কথা বলার পরই দিল্লি চলে গিয়েছেন। উনি আজ সবসময় সৌজন্য দেখিয়েছেন। এরপর দলনেত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। রাজ্যপাল যেহেতু সৌজন্য দেখিয়েছেন, দলনেত্রীর নির্দেশে বাংলার সৌজন্য আমরাও দেখাচ্ছি। আপাতত এখান থেকে ধর্না কর্মসূচি প্রত্যাহার করছি।'
Advertisment
তবে সৌজন্যের পাশাপাশি হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপালকে দেওয়া ২ সপ্তাহের সময়সীমার মধ্যে বকেয়া সংক্রান্ত দাবিপূরণ না হলে জোরদার আন্দোলনের ঘোষণা করেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ। বলেছেন, 'রাজ্যপাল কথা দিয়েছেন সমস্যা সামাধানের। কেন্দ্রকে ৩১শে অক্টোবর পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। আমরা নজর রাখছি। তা না হলেই ১লা নভেম্বর থেকে ফের ধর্না কর্মসূচি হবে। তার তেজ অনেক বেশি হবে।' অর্থাৎ পুজোর পর ১০০ দিনের কাজে বকেয়া আন্দোলন নিয়ে ফের ফিরার কথা আগাম বলে রাখলেন তৃণমূলের 'সেকেন্ড ইন কমান্ড'।
বিস্তর টানাপোড়েনের পর সোমবার বিকেলে শেষপর্যন্ত অভিষেক সহ তৃণমূল নেতৃত্বকে কথা বলার সময় দেন রাজ্যপাল। রাজভবনে মিনিট কুড়ি রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ে একশ দিনের কাজ প্রকল্পের কয়েকজন মজুরকেও নিয়ে গিয়েছিলেন অভিষেক। তাঁরা কাজ করে যে মজুরির টাকা পাচ্ছেন না সে কথা রাজ্যপালকে জানান। পরে অভিষেক সহ তৃণমূল নেতারা রাজ্যপালকে জানিয়ছেন, ২১ লক্ষ মানুষ কাজ করে টাকা পাননি। এটা তো তাঁদের অধিকার। কেন সেই টাকা দেওয়া হচ্ছে না? ২ বছর ধরে টাকা না দেওয়ায় তার উপর যে ৩৬ শতাংশ সুদ প্রাপ্য সে কথাও রাজ্যপালকে জানিয়েছেন অভিষেক।
ধর্না প্রত্যাহার করে বাংলার 'বঞ্চিতদে'র অভিষেকের আশ্বাস, এরপরও কেন্দ্র যদি প্রাপ্য টাকা না দেয় তাহলে হতাশার কোনও কারণ নেই। কেন্দ্র না দিলে আমরাই তার ব্যবস্থা করব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় ২ কোটি মহিলাকে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার দিতে পারলে, একশ দিনের মজুরদের প্রাপ্য টাকাও দিয়ে দিতে পারবেন।