৫ই সেপ্টেম্বর ধুপগুড়ি বিধায়নসভায় উপনির্বাচন। রবিবারই শেষ হচ্ছে প্রচারের মেয়াদ। শনিবার ধুপগুড়িতে প্রচার করেন তৃণণূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। সেই প্রচারসভা থেকেই ধুপগুড়িবাসীকে বড় প্রতিশ্রুতি দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সাফ ঘোষণা, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ধুপগুড়ি মহকুমা হবে।
কী বলেছেন অভিষেক?
এদিনের সভায় স্থানীয়দের চাহিদা জানতে চান অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন অনেকেই ধূপগুড়িকে পৃথক মহকুমা করার দাবি তোলেন। উপনির্বাচনের আগে স্থানীয়দের সেই দাবিতেই মান্যতা দেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, 'আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমি কথা রাখার ছেলে। আমি দাবি শুনে বলতে পারতাম, ১ বছর, দেড় বছর, ২ বছর পর হবে। দেখছি দেখবো বলতে পারতাম। বলতে পারতাম মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে জানাবো। কিন্তু আমি নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিচ্ছি। আমি প্রতিশ্রুতি দিয়ে যাচ্ছি যে ধুপগুড়ি মহকুমা হবে। ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যেই ধুপগুড়ি মহকুমা হিসাবে ঘোষণা হবে। এখন থেকে সবুজ আবির খেলতে শুরু করুন।'
পাশাপাশি ধূপগুড়ির হাসপাতাল, বিরুপাক খাল সংস্কার সহ একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২১ সালে ধুপগুড়ি বিধানসভায় জয় পেয়েছিলেন বিজেপির বিষ্ণুপদ রায়। কিন্তু তাঁর অকাল মৃত্যুতে ফের উপনির্বাচ হচ্ছে ধুপগুড়িতে। এদিনের প্রচারে পদ্ম শিবিরকে বিঁধে তৃণমূলের এই শীর্ষ নেতার অভিযোগ, 'উনিশ, একুশের ভোটে ধূপগুড়ির মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। তবু উন্নয়ন থামেনি। রাজ্য সরকার মানুষের উন্নয়নের কথা ভেবেছে। অথচ যারা ভোট পেয়েছে তারা এলাকার মানুষের কথা ভাবেনি।'
ভোটমুখী ধুপগুড়িতে অভিষেকের এই ঘোষণার পরই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিজেপি। দলের রাজ্য মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'প্রশানের অংশ নন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা তাঁর সংসদীয় এলাকাও নয়। কিন্তু তাও তিনি প্রশাসনিক প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিলেন কী করে? এর থেকেই প্রমাণিত যে, তৃণমূল ভোট সর্বস্ব রাজনৈতিক দল। এই দল প্রশাসন ও শাসক দলের পার্থক্য রাখে না।' কংগ্রেস নেতা কৌস্তভ বাগচীর কথায়, 'অভিষেক এই ঘোষণা করে নিজের পিসি তথা মুখ্যমন্ত্রীকেই চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড় করালেন।'